সালতামামিতে কি শুধু বড় বড় ঘটনাই আসবে? তা কেন! নেহাত ছাপোষা ঘটনাও তো তোলা থাকে অন্তরমহলে। বছরের বেলাশেষে সেরকমই ঘটনার কথা শোনালেন সংবাদ প্রতিদিন শোনো-র শ্রোতারা। প্রথম পর্বে গল্প শোনালেন সঙ্ঘশ্রী সেনগুপ্ত, জয়দীপ লাহিড়ী এবং সুপর্ণা দাস।
২০২৩ শেষ হয়ে এল। বছর জুড়ে নানা ঘটনার ঘনঘটা। তার কটাই বা মনে থাকে! আবার এমন অনেক কিছুই ঘটে, যা খবরের কাগজে জায়গা পায় না। তবু সেই সব দৃশ্য ভোলা যায় না। মনে থেকে যায় আজীবন। সংবাদ প্রতিদিন শোনো খোঁজ করেছিল সেই ব্যক্তিগত সালতামামি-র।
নেহাতই ছাপোষা তবু মনে-থেকে-যাওয়া তিনটে ঘটনা দিয়ে সাজানো এই পর্ব। মহেশতলা থেকে সঙ্ঘশ্রী সেনগুপ্ত জানিয়েছেন অপূর্ব এক ঘটনার কথা। বাজারে গিয়ে মাত্র ৫০ টাকায় ১২ পিস মাছের টুকরো চাইছিলেন এক বুড়িমা। আবদার করার কারণও আছে। ব্রিজের নিচে যে সব পথশিশুরা থাকে, তাদের পেট পুরে খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই টাকায় অতগুলো মাছ দিতে কি রাজি হয়েছিলেন বিক্রেতা? থাকল সেই গল্প।
আবার হুগলির জয়দীপ লাহিড়ী শুনিয়েছেন আর এক ঘটনা। আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায় অনেক বাচ্চারা, যাদের দিকে ফিরে তাকাবারও ফুরসত হয় না সচরাচর। অথচ তাদের মধ্যেই তো কেউ হয়ে উঠতে পারে ভারতবর্ষের মেয়ে, সাক্ষাৎ অন্নপূর্ণা। কীভাবে? জয়দীপবাবু শুনিয়েছেন সেই ঘটনা।
ছোট ছোট ঘটনার পরতে পরতে মিশে থাকে কত না অনন্য উপলব্ধি! ঠিক তেমনই এক উপলব্ধির কথা শুনিয়েছেন সুপর্ণা দাস। তাঁর ছোট্ট মেয়েটার বড় হয়ে ওঠার মধ্য দিয়েই যেন বছরের এক অন্য তাৎপর্য খুঁজে পেয়েছেন তিনি। সে গল্প বোধহয় শুধু তাঁর একার নয়, হয়তো আমাদের অনেকেরই।