একই বাড়িতে থাকেন ১৯৯ জন। শুধু তাই নয়, এঁরা প্রত্যেকেই এক পরিবারের সদস্য। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। সিনেমা নয়, বাস্তবেই রয়েছে এমন উদাহরণ। জানেন কোথায় থাকে এমন পরিবার? আসুন শুনে নিই।
কথায় আছে, যদি হও সুজন তবে তেঁতুল পাতায় ন’জন। তবে এখানে ন’জন নয়, ১৯৯ জন থাকেন একই বাড়িতে। তাঁরা আবার একই পরিবারের অংশ। যদিও বর্তমানে পরিবারের সদস্য সংখ্যায় রদবদল ঘটেছে। বিশেষ করে পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের অনেকেই মারা গিয়েছেন। তবে নতুন সদস্য যোগ দিয়ে সেই সংখ্যা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ব্যালান্স করে দিয়েছেন।
আরও শুনুন: ফের চর্চায় তাজমহল! সৌধ চত্বরে নমাজ পাঠে বাধা মুসলিম ব্যক্তিকে
কথা বলছি, মিজোরামের ‘চানা’ পরিবার সম্পর্কে। সে রাজ্যের বাক্তাওয়াং গ্রামের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা তাঁরা। ১৯৯ জন সদস্য নিয়ে একসময় রেকর্ডের খাতায় নাম তুলেছিল এই পরিবার। যদিও ২০২১ সালে পরিবারের সব থেকে বয়স্ক সদস্যের মৃত্যুর পর সেই সংখ্যায় রদবদল ঘটেছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এতবড় পরিবারের মধ্যে ঠিক কোন কোন সম্পর্ক রয়েছে?
আরও শুনুন: দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোয় আপত্তি করলেই হিন্দুবিরোধী! নেটদুনিয়ায় তোপের মুখে অভিনেত্রী
সাধারণত বাবা-মা, ছেলে-বউ আর তাঁদের সন্তান। পরিবার বলতে অনেকেরই ধারণা স্রেফ এই কজন সদস্য। এবার কারও যদি একাধিক সন্তান থাকে, তবে তাদের স্ত্রী ও সন্তানরাও একই পরিবারের অংশ হন। এর বাইরে যাবতীয় যা সম্পর্ক তার সবই আত্মীয়। সরাসরি পরিবারের অংশ নয় বললেই চলে। কিন্তু ‘চানা’ পরিবারের সকলেই একে অন্যের নিকট আত্মীয় বলা চলে। কারণটা পরিবারের মাথা জিয়োনা চানা। ৭৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান। কিন্তু এর মধ্যেই ৩৮ বার বিয়ে করেছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই এতজন স্ত্রী তাঁর পরিবারের সবথেকে প্রধান সদস্য। এরপর ছেলে মেয়ে, সেই সংখ্যাও সব মিলিয়ে ৮৯ জন। তাদের অনেকের বিয়েও হয়েছে। ফলে তাদের স্ত্রী বা স্বামীও পরিবারেরই অংশ। শুধু তাই নয়, এঁদের অনেকের সন্তানও রয়েছে। সেই হিসেবে মৃত্যুর আগে জিয়োনার নাতি-নাতনির সংখ্যা ছিল ৩৬। সবমিলিয়ে ১৯৯ কেন, তার বেশি হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবু যা অবাক করে, তা হল ওই পরিবারের একসঙ্গে থাকার বিষয়টা। এখনও পরিবারের সমস্ত সদস্য এক ছাদের নীচেই থাকেন। বাড়িটিও অবশ্য পেল্লায় মাপের। চার তলা বাড়িতে রয়েছে ১০০-রও বেশি ঘর। গোটা গ্রামের মধ্যে ওমন বাড়ি আর একটাও নেই। শুধু একসঙ্গে থাকাই নয়, রোজ সবাই মিলে একসঙ্গে খেতেও বসেন ‘চানা’ পরিবারের সদস্যরা। সব মিলিয়ে তাঁদের এই সহাবস্থান রীতিমতো অবাক করে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের। একই দাবি নেটিজেনদেরও। যদিও এসব নিয়ে কোনও মাথা ব্যথা নেই পরিবারের সদস্যদের। বরং তাঁরা চান পরিবারের সদস্য সংখ্যা আরও বাড়ুক। যাতে সবাই মিলে একসঙ্গে থাকতে পারেন।