বুদ্ধির জোর আইনস্টাইনের চেয়েও বেশি! অথচ বয়স মাত্র ১০। শুধু আইনস্টাইন কেন, বুদ্ধির দৌড়ে স্টিফেন হকিং-কেও পিছনে ফেলেছে খুদে। কার কথা বলছি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বিশ্বের সবচাইতে বুদ্ধিমান কে? এমন প্রশ্ন শুনলে বড় কোনও বিজ্ঞানির কথাই মনে আসবে। তালিকায় থাকতে পারেন, আইনস্টাইন, স্টিফেন হকিং কিংবা আরও তাবড় কেউ। মোটের উপর কমবয়সী কাউকে এই দলে রাখার কথা ভাববেন না অনেকেই। কিন্তু সাম্প্রতিক বাস্তব বলছে অন্য কথা, বিশ্বের সবচাইতে বুদ্ধিমানের তালিকায় উপরের দিকে নাম রয়েছে ১০ বছরের এক খুদের।
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। ব্রিটেনের পড়ুয়া কৃষ আরোরা, মাত্র ১০ বছর বয়সেই অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। আলাদা করে কোনও পরীক্ষায় সে বাজিমাত করেনি, তবে পরীক্ষায় বসলে তার বয়সী সকলকে ছাপিয়ে যেত, এমনটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। কারণ কৃষের আইকিউ ১৬২। মনে করা হয়, আইনস্টাইন কিংবা স্টিফেন হকিং-এর আইকিউ ছিল ১৬০। সেই হিসাবে কৃষের বুদ্ধি তাঁদের থেকেও বেশি। মহান এই বিজ্ঞানীরা বেঁচে থাকলে নিশ্চয় প্রতিযোগিতার আয়োজন হত। তাতে ফলাফল যাই হোক, আপাতত কৃষকে নিয়ে বেজায় মাতামাতি শুরু হয়েছে। খুদে হলেও কৃষ প্রাইমারিতে পড়তে চায় না। বরং একেবারে ক্লাস ১১ বা ১২-এর পরীক্ষা য় বসতে চায় সে। উঁচু ক্লাসের অঙ্ক শেখার আগ্রহ প্রবল। অবশ্য না শিখেও এইসব অনায়াসে সমাধান করতে পারে কৃষ। তার প্রতিভার যোগ্য দাম দিতে, ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা করেছে ব্রিটেন প্রশাসন। জানা গিয়েছে, সে দেশের অভিজাত কুইন ইলিজাবেথ স্কুলে পড়ার সুযোগ পাবে কৃষ। শুধু ব্রিটেন নয়, এই স্কুল গোটা বিশ্বের মধ্যে সেরা হিসেবে গণ্য হতে পারে। সাধারণ কেউ সেখানে পড়ার সুযোগ পায় না, অথচ কৃষ সেখানে পড়বে নিজের বয়সের থেকে বড় কোনও শ্রেনীতে।
যদিও স্রেফ পড়াশোনা নয়, গানবাজনাতেও একইরকম প্রতিভাবান কৃষ। তার বাজানো পিয়ানো শুনতে স্কুলের শিক্ষকরাও অপেক্ষায় থাকেন। এই বয়সেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সেরার সেরা খেতাব জিতেছে কৃষ। অবশ্য এমনটা করতে আলাদা করে কোনও কসরত করতে হয় না বলেই দাবি বিস্ময় বালকের। কৃষের দাবি, পিয়ানো বাজনায় কখনও ভুল হতেই পারে না তার। তাই অনায়াসে যে কোনও প্রতিযোগিতায় সে জিতে যায়। বয়সে বড় প্রতিযোগি থাকলেও, কুছ পরোয়া নেহি মনোভাবে পারফর্ম করতে পারে কৃষ। সন্তানের এই বিস্ময় প্রতিভা অবাক করে কৃষের বাবা-মাকেও। তাঁরা দুজনেই পেশায় ইঞ্জিনিয়র, সেই হিসাবে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা, তাই ছোট থেকেই ছেলেকে এই জগত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রাখতেন। কিন্তু কৃষের বুদ্ধি বা বোঝার ক্ষমতা দেখে বেজায় অবাক হতেন দুজনেই। মাত্র ৪ বছর বয়সেই গড়গড়িয়ে বই পড়া, অঙ্ক করা কিংবা কঠিন গান বাজাতে পারত কৃষ। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রতিভা। আর দশ বছর বয়সে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তার আইকিউ এমন তাক লাগানো। আগামীদিনে কৃষ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠুক, এমনটাই চাইছে তার পরিবারের সকলে। একই প্রার্থনা নেটদুনিয়ার বাসিন্দাদের।