মাত্র এক রাতের অর্ডার। অর্ডার করেওছেন মাত্র একজন ব্যক্তি। কিন্তু তাঁর অর্ডারের পরিমাণ দেখেই চোখ কপালে উঠেছে ই-কমার্স সংস্থার। কারণ একটি দুটি নয়, এক রাতে মোট ৮১টি কন্ডোম অর্ডার করে বসেছেন এই ব্যক্তি! এ নিয়ে কী জানিয়েছে ওই সংস্থা? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
ঘরে বসেই চটজলদি হাতে জিনিস পেতে ই-কমার্স সংস্থার জুড়ি নেই। যখন বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই, সেই সময়ে প্রয়োজনের জিনিসটি আলাদিনের জিনের মতোই হাতে জুগিয়ে দেয় তারা। কিন্তু কে কোন জিনিসটি অর্ডার করছেন, সেই তালিকা করলে অনেকসময়ই নানারকম অভিনব তথ্য সামনে আসে। আর তেমনটাই ঘটেছে সম্প্রতি। বছর শেষে কেনাকাটার হিসেবনিকেশের খতিয়ান দিতে গিয়ে এক ব্যক্তির গোপন চাহিদা ফাঁস করে দিয়েছে এমনই এক সংস্থা। জানা গিয়েছে, মাত্র এক রাতে মোট ৮১টি কন্ডোম অর্ডার করে বসেছেন এই ব্যক্তি। আর সেই সংখ্যা শুনেই চোখ কপালে উঠেছে নেটিজেনদের।
আরও শুনুন: কন্ডোম, লিপস্টিক বা চকোলেট, সবই নাকি আমিষ! জানেন কি?
এমনিতেই বর্ষশেষে কেনাকাটার ধুম পড়ে সকলের মধ্যে। ক্রিসমাস থেকে নিউ ইয়ার্স ডে, উৎসবের মরশুম বলে কথা। তাই পাল্লা দিয়ে ঘর সাজাতে আর পার্টির আয়োজন করতে নেমে পড়েন অনেকেই। কিন্তু সেই আয়োজনের মাঝে যদি হঠাৎ কোনও জিনিসের প্রয়োজন পড়ে, তখন সহজে উদ্ধার করতে পারে ই-কমার্স সংস্থাই। ফলে এই সময়ে যে কোনও সংস্থার কেনাকাটার তালিকাতেও সেই উৎসবের ছাপ পড়ে। এবারও যেমন মদ্যপানের গ্লাস থেকে লেবু কেনার বাজার ছিল চড়া। বর্ষশেষের রাতে অর্ডার মিলেছিল প্রায় ২ লাখ সফট ড্রিংকেরও। আবার ভুজিয়া বিক্রি যেভাবে বেড়েছিল, তা দেখে অনেকেরই ধারণা যে পানের আসরে বাদামের জায়গা এবার টলোমলো।
আরও শুনুন: বিকিনি আর ঘাসের ঘাগরায় হিল্লোল মিস শেফালির, পার্ক স্ট্রিটের রাতে নেশা জমাত ক্যাবারে
তবে পার্টি যে কেবল সেটুকুতেই শেষ নয়, তারই ইঙ্গিত মিলেছে কন্ডোমের বিপুল অর্ডারে। একটি নামী ই-কমার্স সংস্থার কর্ণধার আলবিন্দর ধিন্দসা নিজেই এক্স হ্যান্ডেলে ওই অর্ডারের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু এই প্রথম যে কেউ এত বেশি সংখ্যায় কন্ডোম অর্ডার করলেন, ব্যাপারটা তাও নয়। ২০২৩ সালেই দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ দিল্লি থেকে এক ব্যক্তি সারা বছরে মোট ৯৯৪০টি কন্ডোম অর্ডার করেছিলেন। সেই ব্যক্তিই ইনি কি না, কৌতূহল সংস্থার কর্ণধারের। আর তাঁর পোস্টেই আগ্রহ উপচে পড়েছে নেটিজেনদেরও।