বৈজয়ন্ত বেশ কিছুদিন আসেনি ক্যাফেতে। অপমান কাটিয়ে ফের পা রাখে বৈতালিকে। একা একাই ক্যাপুচিনো নিয়ে বসেছিল মাথা নিচু করে। হঠাৎ কোথা থেকে উদয় ঘটে বরিষনের।
ব: এই যে, একটা হেল্প করতে পারেন।
বৈ: কী?
ব: আরে, ফোনটায় কী একটা বকবক করছে কেউ। কোনও ফেসবুক ভিডিও বা ইউটিউবের হবে। কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না! একঘণ্টা ধরে চেষ্টা করছি। সবক’টা অ্যাপ দেখেছি।
বৈ: দিন। (বৈজয়ন্ত ফোনটা নেয়। এদিক-ওদিক দেখে। শেষে সক্ষম হয় ওটা বন্ধ করতে)
ব: বাঃ, আপনি বেশ প্রো তো এসবে। কী চলছিল?
বৈ: অত কিছু এক্সপার্ট নই। ওটা একটা পডকাস্ট শুরু হয়ে গিয়েছিল।
ব: বিতান থাকলে না, চট করে এসব করে দেয়। সেই যে দিল্লি গেল, এখনও সেখানে পার্টি করছে। হুঃ!… সরি।
বৈ: সরিটা কী জন্য? বিতান দিল্লিতে পার্টি করছে বলে? না, আমি এটা বন্ধ করে দিলাম বলে?
ব: আপনাকে আগের দিন একটু বেশি কড়া কথা বলেছি, সেজন্য।
বৈ: তাই! মনে আছে আপনার?
ব: থাকবে না কেন? ঝাড় খেয়েছেন বলে ক’দিন আসেননি তো?
বৈ: না না, ধ্যাৎ, তা কেন? বারিধারা ঢাকা গেল এর মধ্যে কিনা, ওর ভিসার জন্য হাইকমিশনে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছিল ক’দিন।
ব: সামনে পুজো, বারিধারা বাড়ি চলে গেল?
বৈ: কে জানে, হয়তো কোনও কনফারেন্স আছে। কিংবা পার্টি করতে গেল।
ব: আচ্ছা, আওয়াজ দিচ্ছেন। এই গুণটাও তো ভালই রপ্ত করেছেন দেখছি!
বৈ: কিছু মনে করবেন না। আর আওয়াজ দিয়েছি বলে দোহাই ‘মি টু’ দেবেন না। সত্যিই তো অচেনা কাউকে এমন কথা কোন আক্কেলে বলতে গেলাম আমি!
ব: ঠিক আছে। আর সুখেন দাসের ডায়লগ দিতে হবে না। একটা স্যান্ডউইচ অর্ডার করুন। খিদে পেয়েছে। আর হ্যাঁ, আগের দিন খাওয়াবেন বলে কফির দামটা দিয়ে যাননি। আমাকে দিতে হয়েছে।
বৈ: (লজ্জায় জিভ কাটে) তাহলে তো ব্রাউনি পয়েন্ট পুরো কাটা গেল। এ তো চরম ছড়ান ছড়ালাম।
ব: দোষ কাটানোর জন্য খাওয়ান ভাল করে। মুখ ঝুলিয়ে বসে থাকলে হবে?
বৈ: প্রায়শ্চিত্তর একটা প্ল্যান আছে। ‘মি টু’ না দেন তো বলতে পারি।
ব: ঝেড়ে কাশুন।…