অভিষেক বচ্চন থেকে শুরু করে সচিন তেন্ডুলকর, ব্যক্তিগত জীবনে অনেকেই জুটি বেঁধেছেন বয়সে বড় সঙ্গীর সঙ্গে। শুধু বিবাহিত জীবনে নয়, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও দেখা যায় এই প্রবণতা।
কথায় বলে প্রেম অন্ধ। সে না দেখে বয়স, না সামাজিক অবস্থান। তবে অনেকেই কিন্তু প্রেম বা যৌনতার ক্ষেত্রে অসমবয়সীদের প্রতি বেশি আকর্ষণ বোধ করেন। ‘দিল চাহতা হ্যায়’ ছবিতে অক্ষয় খান্নার চরিত্রটিকে ভোলেননি নিশ্চয়ই? সে কিন্তু প্রেমে পড়েছিল তাঁর থেকে দ্বিগুণ বয়সী এক নারীর। কিংবা ধরুন সেই ‘নিঃশব্দ’ সিনেমাটির কথা। যেখানে নিজের মেয়ের বান্ধবীর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। এমন ঘটনা যে শুধু সিনেমাতেই ঘটে, তা নয়। বাস্তবেও এমন আখছার ঘটে। অভিষেক বচ্চন থেকে শুরু করে সচিন তেন্ডুলকর, ব্যক্তিগত জীবনে অনেকেই জুটি বেঁধেছেন বয়সে বড় সঙ্গীর সঙ্গে। শুধু বিবাহিত জীবনে নয়, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও দেখা যায় এই প্রবণতা। কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকাদের পছন্দ বয়সে বড় সঙ্গী? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন লিও বা সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারা। কথায় বলে ‘এক্সপিরিয়েন্স ম্যাটার্রস’। প্লেটোনিক হোক বা তুমুল শরীরী প্রেম, যে কোনও ক্ষেত্রেই সেই অভিজ্ঞতাকেই বেশি গুরুত্ব দিতে পছন্দ করেন এই রাশির জাতক জাতিকারা। তাছাড়া এই ধরনের সম্পর্ক অনেক বেশি টেকসই হয় বলেই মনে করেন তাঁরা।
এর পরেই রয়েছেন পাইসেস বা মীন রাশির জাতকেরা। সঙ্গীর থেকে অতিরিক্ত মনোযোগ এবং যত্ন প্রত্যাশা করেন এই রাশির লোকেরা। আর তাঁদের কাছে বয়স্ক এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ছাড়া সেই কাজটি ভাল করতে পারেন না আর কেউই। তাছাড়া নিরাপত্তা বা আশ্রয়ের ব্যাপারেও তাঁদেরকেই বেশি ভরসাযোগ্য হয় বলেই বিশ্বাস এই রাশির জাতক-জাতিকাদের।
তালিকায় রয়েছে ভার্গো বা কন্যা রাশির লোকেরাও। সমবয়স্কদের কখনওই আদর্শ সঙ্গী বলে মেনে নেন না তাঁরা। তাঁদের প্রিন্স চার্মিংরা হন সবসময়েই বয়সে বড়। চঞ্চল স্বভাবের চেয়ে ধৈর্যশীল, পরিণত মনের মানুষকেই জীবনে পাশে পেতে চান তাঁরা।
বয়স্কের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন অ্যাকোয়ারিয়াস বা কুম্ভ রাশিক জাতকেরাও। এই রাশির জাতকেরা ব্যক্তিগত জীবনে পরনির্ভরতা একেবারেই পছন্দ করেন না। সাধারণ ভাবে প্রেম বা ওই ধরনের সম্পর্কে জড়াতে চান না তাঁরা। তবে একবার কারওকে ভাল লাগলে সেই সম্পর্ক নিয়েও যথেষ্ট সিরিয়াস প্রকৃতির হন এই রাশির মানুষেরা। আর তাঁদের এই সমস্ত গুণের কদর করতে পারেন একজন অভিজ্ঞ মানুষই, এমনটাই বিশ্বাস তাঁদের। এঁদের কাছে পারস্পরিক সম্মান ব্যাপারটাও খুবই জরুরি। আর তার জন্য অভিজ্ঞতাকেই বেশি দাম দেন তাঁরা।
এর পরেই রয়েছে ক্যাপ্রিকর্ন বা মকর রাশির জাতকেরা। বয়সে ছোট বা সমবয়সীর সঙ্গে প্রেম একেবারেই না-পসন্দ এঁদের। বরং অভিজ্ঞ এবং পরিণত মানসিকতাসম্পন্নদের সঙ্গে প্রেম করতেই বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করেন এই রাশির জাতক-জাতিকারা। যে কোনও সম্পর্ক থেকে তাঁদের যা দাবি বা প্রত্যাশা, তা একমাত্র মেটাতে পারেন বয়সে বড় সঙ্গীই, এমনটাই বিশ্বাস এই রাশির জাতকদের।