‘খাই খাই করো কেন, এসো বসো আহারে’…. পেটে খিদে থাক বা না-থাক, খাবার দেখলেই মনটা খাই-খাই করে সবসময়ে? এ জন্য বন্ধুমহলে পেটুক বলেও বদনাম রয়েছে বিস্তর। তা সত্ত্বেও খাবারের প্রতি ভালবাসায় বিন্দুমাত্র ঘাটতি নেই। এই সব কটা লক্ষণই যদি আপনার থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনি জায়গা পাবেন ‘ইমপালসিভ ইটার’দের তালিকায়। তা কোন রাশিক জাতক-জাতিকারা হন পেটুক স্বভাবের? শুনে নেওয়া যাক।
এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন এরিজ বা মেষ রাশির জাতক-জাতিকারা। তাঁদের নামের সঙ্গে পেটুক উপাধি জুড়েই থাকে সবসময়। জীবনে সব ক্ষেত্রেই এঁরা বেশ অধৈর্য হন। খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় না। অনেক সময় এর জন্য নানাবিধ অসুবিধাতেও পড়েন এঁরা।
লিও বা সিংহ রাশির জাতকেরাও কম যান না এ বিষয়ে। খাবারের পিছনে খরচ করার ব্যাপারেও এক মুহূর্তও ভাবেন না এঁরা। খাবারই পৃথিবীর একমাত্র জিনিস, যা সবচেয়ে খুশি করতে পারে এঁদের। যেমন খেতে ভালবাসেন, অন্যদের খাওয়াতেও ততটাই ভালবাসেন সিংহ রাশির জাতকেরা।
খেতে ভালবাসেন লিব্রা বা তুলা রাশির জাতক-জাতিকারাও। কোনও বিশেষ খাবার নয়, প্রায় সব ধরনের খাবারই এদের পছন্দের। গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে খিদে পেলে ফ্রিজে উঁকিঝুঁকি দেওয়া তাঁদের চাই-ই। সিনেমা দেখতে গিয়ে হোক বা বন্ধুদের আড্ডায়, হাতের কাছে লোভনীয় খাবারদাবার থাকা তাঁদের জন্য বাধ্যতামূলক।
এবার আসা যাক স্যাজিটেরিয়াস বা ধনু রাশির জাতক-জাতিকাদের কথায়। এরা বেড়াতে খুবই ভালবাসেন। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোই এঁদের নেশা। তার সঙ্গে সঙ্গে সেসব জায়গার বিশেষ খাবারদাবার চেখে দেখতেও দারুণ ভালবাসেন এঁরা। অদ্ভুত অদ্ভুত খাবারদাবার খেতে এঁদের জুড়ি মেলা ভার। খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে দু’বার ভাবেন না তাঁরা। তবে তাতে থাকতে হবে নতুনত্ব ও অ্যাডভেঞ্চারের গন্ধ। তাহলেই ঝাঁপিয়ে পড়তে দ্বিধা করবেন না স্যাজিরা।
ইমপালসিভ ইটারদের তালিকায় রয়েছেন পাইসেস বা মীন রাশির জাতকেরাও। মন খারাপ থাকলে এঁদের একমাত্র দাওয়াই সুস্বাদু খানাপিনা। খাবারদাবারের ব্যাপারে খুবই অনুভূতিপ্রবণ হন এঁরা। জাঙ্ক ফুড এঁদের বেশ পছন্দের। তার জন্য ওবেসিটির সমস্যাতেও ভুগতে হয় এঁদের অনেক সময়। তবে তা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন মোটেই।
তা বাঙালি মাত্রই যে পেটুক, তাতে আর সন্দেহ কী! যে রাশিরই জাতক হোন না কেন, বাঙালিরা সবসময়েই রসেবশে থাকতে পছন্দ করেন। তাই সময় সুযোগ পেলেই কবজি ডোবান পছন্দের পদে। সত্যি বলতে, শারীরিক অসুবিধা ও ডাক্তারের বারণ না-থাকলে, পেটপুজো কিন্তু হতেই পারে শরীর ও মন ভাল রাখার অব্যর্থ দাওয়াই।