কারওর মনে আঘাত না দিয়েই সবাইকে মজিয়ে রাখতে পারেন যাঁরা, তাঁদের ভক্ত সকলেই। এককথায় যাদের বলা হয় ‘উইটি’। কাদের রয়েছে এই গুণ? শুনে নিন।
বন্ধুমহলে হোক বা আড্ডায়, সবচেয়ে জনপ্রিয় সেই বন্ধুটিই যাঁর বুদ্ধিদীপ্ত কৌতুক জমিয়ে রাখে আসরকে। কারওর মনে আঘাত না দিয়েই সবাইকে মজিয়ে রাখতে পারেন যাঁরা, তাঁদের ভক্ত সকলেই। এককথায় যাদের বলা হয় ‘উইটি’। তবে সকলেরই যে সেই গুণ থাকে, তা কিন্তু নয়। কোন কোন রাশির জাতকদের ক্ষেত্রে থাকে এই কৌতুকরসবোধ? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
প্রথমেই রয়েছেন টরাস বা বৃষ রাশির জাতকেরা। স্বাধীনচেতা হওয়ার পাশাপাশি এঁরা অত্যন্ত পরিশ্রমী প্রকৃতির হন। তার পাশাপাশি বুদ্ধিদীপ্ত বক্তব্যের জেরে সকলের মন জয় করে নিতে পারেন এই রাশির জাতকেরা।
লিও বা সিংহ রাশির জাতকরা রয়েছেন তার ঠিক পরেই। এরা জন্মগত ভাবে শিল্পী। কেউ বা গান করেন তো কেউ ভাল নাচেন। যাঁরা এগুলোর কিছুই পারেন না, তাঁরা হন ভাল বক্তা। এঁদের রসবোধ মারাত্মক। মজার মজার কথা বলে আসর জমাতে এঁদের জুড়ি মেলা ভার। নিজেদের সেই গুণকে প্রকাশ করতে কিন্তু একটুও ইতস্তত করেন না সিংহ রাশির জাতকেরা।
এর পরেই লিস্টে রয়েছেন অ্যাকোয়ারিয়াস বা কুম্ভ রাশির জাতকেরা জাতকেরা। যে কোনও পরিস্থিতিতে হাসতে পারেন তাঁরা। আশাতেও জ্বালিয়ে দিতে পারেন খুশির আলো। সমস্যা নিয়ে জীবনে খুব বেশি ভাবতে রাজি নন তাঁরা। সমস্ত জটিলতা ভুলে নিজে হাসতে এবং অন্যকে হাসাতে জানেন তাঁরা।
এরিজ বা মেষ রাশির জাতকদের জায়গা এর পরেই। যে কোনও বিষয়েই বেশ আত্মবিশ্বাসী হন তাঁরা। তাঁর পাশাপাশি ধারালো বুদ্ধির জন্য পরিচিত এই রাশির মানুষেরা। নিজের বুদ্ধিদীপ্ত কথাবার্তার জন্য় বন্ধুমহলে তাঁদের জনপ্রিয়তা সবর্দা তুঙ্গে। যে কোনও প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে পজিটিভ থাকতে জানেন এঁরা।
স্যাজিটেরিয়াস বা ধনু রাশির জাতকরাও রয়েছেন এই তালিকায়। যে কোনও আয়োজনে এরা মধ্যমণি হয়ে থাকতে পছন্দ করেন। এদের জনসংযোগক্ষমতা বেশ ভাল। আর বুদ্ধিদীপ্ত অথচ মজার কথাবার্তা সকলের মন জয় করে নেয়।
এবং এই তালিকার এক্কেবারে শেষে রয়েছে জেমিনি বা মিথুন রাশির জাতকেরা। এদের মজা করার ক্ষমতা ঈর্ষা করার মতোই। সকলকে আনন্দ দিতে ভালবাসেন এই রাশির জাতকেরা। যে কোনও অনুষ্ঠানে আলাদা মাত্রা যোগ করতে এদের জুড়ি মেলা ভার। আপনার বাড়ির পার্টি হোক বা অনুষ্ঠান, জেমিনিরা থাকলে তা জমিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পুরোটাই তাঁদের।