কেউ হাজার খুঁজেও মনের মানুষ পাচ্ছেন না। আবার ওই একই বয়সে কেউ দিব্য সংসার করছেন। জ্যোতিষমতে মনের মানুষ খুঁজে পাওয়ার এই বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে রাশিচক্রের উপর। কোন রাশির জাতক জাতিকা কোন বয়সে মনের মানুষ পাবেন? আসুন শুনে নিই।
মনের মানুষ খুঁজে পেতে ঠিক কী করতে হয়? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো কারওর জানা নেই। খুব কম বয়সে কেউ খুঁজে পান সারা জীবনের সঙ্গী। আবার কারও ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হয় অনেকদিন। তবে কোন বয়সে মনের মানুষের হদিশ মিলবে তার হদিশ দিতে পারে রাশিচক্রই।
আরও শুনুন: শুধুমাত্র রাখির দিনেই খোলা থাকে মন্দির, নেপথ্যে কী রহস্য জানেন?
রাশিচক্রের প্রথমেই অবস্থান মেষ রাশির। জ্যোতিষমতে এই রাশির জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত স্পষ্টবাদী ও বুদ্ধিমান হন। নিজেদের সিদ্ধান্তকে এঁরা বেশি প্রাধান্য দেন বলেই মনে করেন জ্যোতিষীদের একাংশ। তাই এই রাশির জাতকদের বৈবাহিক জীবন ততটাও শুভ হয় না। যদিও রাশি চক্রের এই নির্ধারণ প্রত্যেকের ক্ষেত্রে এক নাও হতে পারে। লগ্ন নক্ষত্র বিভিন্ন ভেদে তা বদলানো একেবারেই স্বাভাবিক। জ্যোতিষমতে মেষ রাশির জাতকরা মনের মানুষ খুঁজে পান ২২ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ চাকুরী জীবনে প্রবেশের পরই এঁদের বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। রাশিচক্রে এরপরই রয়েছে বৃষ। এঁরা খুবই জেদি ও পরিশ্রমী হন বলেই ব্যাখ্যা দেয় জ্যোতিষশাস্ত্র। তবে বৃষ রাশির জাতকদের মনের মানুষ পাওয়ার জন্য বেশ কয়েকবছর অপেক্ষা করতে হয়। রাশিচক্রের হিসাব অনুযায়ী এঁরা মনের মানুষ খুঁজে পান ৩০ বছর বয়সের পর। এরপর বলতে হয় মিথুন রাশির কথা। এঁদেরও বিয়ের যোগ বেশি বয়সেই। অন্তত ২৭ বছর বয়স না হলে, মিথুন রাশির জাতকদের মনের মানুষ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করেন জ্যোতিষীদের একাংশ। তালিকায় এরপরই রয়েছে কর্কট রাশি। মাত্র ২০ বছর বয়সেই এঁরা জীবন সঙ্গী খুঁজে পেতে পারেন। জ্যোতিষমতে এই রাশির জাতক জাতিকারা পরিবারের সঙ্গে মিলে মিশে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এঁদের বিবাহজীবন হয় অত্যন্ত সুখের। রাশিচক্রের পঞ্চমে রয়েছে সিংহ। এঁদের স্বভাব অত্যন্ত গম্ভীর প্রকৃতির হয়। নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করা, এঁরা মোটেও পছন্দ করেন না। তবে এদের ক্ষেত্রেও মনের মানুষ খুঁজে পেতে অপেক্ষা করতে হয় ভালমতোই।
আরও শুনুন: সুখ-সমৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধক বাস্তুদোষ! চার চিহ্নেই মিটতে পারে সমস্যা, কী কী জানেন?
জ্যোতিষমতে সিংহ রাশির জাতকরা মনের মানুষ খুঁজে পান ২৭ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তালিকায় এরপর রয়েছে কন্যা ও তুলা রাশি। উওভয় ক্ষেত্রেই মনের মানুষ খুঁজে পাওয়ার বয়স ২৪ থেকে ২৮। কিছু ক্ষেত্রে আরও কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হতেই পারে। তবে ২৪ এর আগে কোনওভাবেই এই রাশির জাতকা মনের মানুষ খুঁজে পান না বলেই দাবি করেন জ্যোতিষীদের একাংশ। আবার রাশিচক্রের শেষের দিকে থাকা রাশিগুলির ক্ষেত্রে মনের মানুষ খুঁজে পাওয়ার বয়স ঘুরে ফিরে সেই ২৭ বছর। বৃশ্চিক ও ধনু রাশির ক্ষেত্রে যেমন মনের মানুষ খুঁজে পাওয়ার বয়স ২৭ থেকে ৩০। মকর বা কুম্ভের ক্ষেত্রে সেই বয়স ২২ থেকে ২৬। কিন্তু চক্রের সবথেকে শেষে থাকা মীন রাশির ক্ষেত্রে সেই ধারা বদলায়। মীন রাশির জাতকদেরও ২০ বছর বয়সের মধ্যেই মনের মানুষ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং মনের মানুষ খুঁজে না পাওয়ার মধ্যে হতাশার কিছুই নেই। বরং রাশি চক্রের হিসাব মিলিয়েই সামান্য অপেক্ষা করলেই মিলবে মনের মানুষ।