মনপসন্দ জিনিস চোখের সামনে থাকলে নিজেকে আটকানো তো মুশকিল বটেই। তবে ততটাই হাত খোলা উচিত, যতটা রেস্ত। তাছাড়া সঞ্চয় করাটাও ভবিষ্যতের জন্য বেশ জরুরি।
হাতে পেতে না পেতেই শেষ মাসমাইনের পুরো টাকাটাই। হাজার বকুনি-উপদেশেও কাজ হয়নি। প্রতিবার নিজেকে শাসন করছেন। তবু রাশ টানতে পারছেন না খরচে। শুধু আপনিই নয়, অনেকেই ভোগেন এই সমস্যা। খরচের হাত কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকাদের? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
এই তালিকায় সবচেয়ে উপর দিকে রয়েছে পাইসেস বা মীন রাশি। এই রাশির জাতক-জাতিকারা খুবই উদার এবং দয়াশীল প্রকৃতির হন। খোলা মনের পাশাপাশি হাতও এঁদের যথেষ্ট খোলাও। ফলে টাকাপয়সাও খরচ হয়ে যায় জলের মতো।
এর পরেই আছেন লিব্রা বা তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা। কেনাকাটার ব্যাপারে এঁদের টেক্কা দেওয়া কঠিন। পছন্দের জিনিস পেলে দামের কথা এঁরা ভাবতে চান না মোটেই। তবে নিজেদের স্বভাবের এই দিকটা মোটেও অজানা নয় তাঁদের। ব্যাপারটা নিয়ে নিজেকে শাসন করতেও কিন্তু ভোলেন না এই রাশির জাতক-জাতিকারা।
স্যাজিটেরিয়াস বা কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদেরও খরচের হাত বেশ ভাল। পজিটিভিটি এঁদের স্বভাবজাত। তবে খরচের ব্যাপারে এঁরা একেবারেই বাস্তববাদী নন। তাই কোনও মতে টাকাপয়সা জমিয়ে উঠতে পারেন না। এঁদের ক্ষেত্রে তাই প্রত্যাশা আর বাস্তবের মধ্যে তফাৎটা থেকেই যায় সবসময়।
এর পরেই রয়েছেন জেমিনি অর্থাৎ মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা। বেশির ভাগ সময়ে এঁদের মধ্যে দ্বৈত সত্তা কাজ করে। ফলে মুডের উপর ভিত্তি করে বদলে যায় এঁদের খরচের হাতও। তাই অনেক সময় খরচ কমাবেন মনস্থির করেও সেই বিন্দুতে স্থির থাকতে পারেন না জেমিনিরা।
এর পরেই রয়েছে এরিস বা মেষ। এই রাশির জাতক-জাতিকারা যা চান, তা না পাওয়া পর্যন্ত শান্তি পান না। তাই অনেক সময়েই এমন অনেক জিনিসপত্র কিনে ফেলেন, যা তাঁদের দরকার নেই। পকেটের চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় তাঁদের।
আজকালকার যুগে অনেকের ক্ষেত্রেই কেনাকাটা বিষয়টা স্ট্রেস কমানোর দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। মুঠোফোনে হাজারটা ই-কমার্স অ্যাপ। ফলে না চাইলেও হাত চলেই যায়। আর মনপসন্দ জিনিস চোখের সামনে থাকলে নিজেকে আটকানো তো মুশকিল বটেই। তবে ততটাই হাত খোলা উচিত, যতটা রেস্ত। তাছাড়া সঞ্চয় করাটাও ভবিষ্যতের জন্য বেশ জরুরি। খরচের খপ্পরে সে কথাটা কিন্তু ভুললে চলবে না।