নিয়ম না মানাটাকেই তাঁরা করে নেন জীবনের মন্ত্র। জীবনের বহু ক্ষেত্রে তার জন্য সমস্যারও সম্মুখীন হতে হয়। তবে তাতেও কুছ পরোয়া নেই। নিজেদের হৃদয়ের কথা শুনতেই অভ্যস্ত তাঁরা।
‘চলো নিয়মমতে’-র সেই মন্ত্রকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিতে ভালবাসেন, এমন মানুষের অভাব নেই আশপাশে। নিয়ম না মানাটাকেই যাঁরা করে নেন জীবনের মন্ত্র। জীবনের বহু ক্ষেত্রে তার জন্য সমস্যারও সম্মুখীন হতে হয়। তবে তাতেও কুছ পরোয়া নেই। নিজেদের হৃদয়ের কথা শুনতেই অভ্যস্ত তাঁরা। কী ভাবছেন, তাঁরা নিয়ম ভাঙেন ইচ্ছে করেই? সব সময় কিন্তু তা না-ও হতে পারে। অনেকেরই নক্ষত্রদোষে রয়েছে নিয়ম না-মানার প্রবণতা। কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকাদের রয়েছে এই প্রবণতা, শুনে নেওয়া যাক।
জেমিনি বা মিথুন। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জীবনের মূল মন্ত্রই স্বতঃস্ফূর্ততা। শুধুমাত্র নিজেদের মনমর্জিরই মালিক তাঁরা। কথাবার্তা এবং কাজকর্মের ক্ষেত্রেও সেই নীতিই মেনে চলতে পছন্দ করেন। নিয়ম ভেঙে ভুল পথ ধরলেও তা নিয়ে পস্তাতে একেবারেই রাজি নন এই রাশির মানুষেরা।
এর পরেই তালিকায় রয়েছে পাইসেস বা মীন। যে কোনও কিছুর ব্যাপারেই নিজেদের অন্তর্দৃষ্টিকেই বেশি গুরুত্ব দেন তাঁরা। কাজের পরিণতি নিয়ে তাঁরা বিশেষ ভাবিত নন। তবে যে কোনও বিষয়েই একটু বেশিই অধৈর্য হন এই রাশিকার জাতক-জাতিকারা।
এদিকে, নিজেদের হৃদয়ের কথা শুনতেই ভালবাসেন এরিস বা মেষ রাশির জাতকেরা। তবে তা সত্ত্বেও অস্থিরতা এঁদের পিছু ছাড়ে না। সে যাই হোক, ঠিক-ভুল নিয়ে বেশি চিন্তাভাবনা করতেও পছন্দ করেন না এই রাশির মানুষেরা।
স্যাজেটেরিয়াস বা ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা আবার মারাত্মক অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়। কোনও নিয়ম মেনে চলা এদের ধাতে নেই। নিয়ম ভাঙতেই যেন জন্ম তাঁদের। তবে যে কোনও কাজের ভিতর থেকেই আনন্দ খুঁজে নিতে জানেন এঁরা। না, সোজা রাস্তা একেবারেই এঁদের জন্য নয়। বরং ছকভাঙা রাস্তাতেই বেশি স্বচ্ছন্দ তাঁরা।
অ্যাকোয়ারিয়াস বা কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা অবশ্য সাধারণ ভাবে একটু অন্তর্মুখী হন। তবে তাঁদের মাথায় সর্বদা গিজগিজ করে একগুচ্ছ বৈপ্লবিক চিন্তাভাবনা। নিয়ম এঁরাও ভাঙেন। তবে এমনি এমনি নয়। গোটা বিষয়টার নেপথ্যে গভীর বিশ্বাস না থাকলে সেই কাজটা করেন না তাঁরা। রাজনীতি বা অর্থনীতি, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি- এসব নিয়ে ভালরকম খোঁজখবর রাখতে এঁদের ভালই লাগে। এককথায় কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের বলতেই পারেন জন্ম-বিপ্লবী। সামাজিক সুবিধা-অসুবিধা বা প্রান্তিক মানুষের স্বর হয়ে উঠতে পছন্দ করেন এঁরা।
আসলে নিয়ম মানা যেমন ভালো, তেমনই প্রয়োজনে নিয়ম ভাঙতে জানাও শেখা দরকার। কখনও কখনও প্রতিবাদ করাটা জরুরি হয়ে পড়ে। কারণ এ কথা সকলেই জানে, অন্যায় যে করে, আর অন্যায় যে সহে, তারা দুজনেই একই অপরাধে দোষী। তা ছাড়া সমস্ত নতুন কিছু শুরু করতে হলে, নিয়ম তো ভাঙতেই হয় কখনও না কখনও।