পাড়ার রক থেকে টিভির পর্দা, একটাই আলোচনা। ভ্যাাকসিন। কবে নেবেন, কোথা থেকে নেবেন, কোন ভ্যাকসিন নেবেন? এই আলেচনায় খালি হয়ে যাচ্ছে চায়ের কাপ। আর উঠে আসছে হাজারও প্রশ্ন। জেনে নিন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে কোন ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী
মাসকাবারি ফর্দ, পুজোর শপিং লিস্ট ছেড়ে আপামর জনতা এখন একটা কাজেই ব্যস্ত। কো-উইন অ্যাপে স্লট বুক করার কাজ। পছন্দের ভ্যাকসিন নেওয়ার জায়গাটা এখনও সেভাবে তৈরি হয়নি। কারণ ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা নিয়ে এখনও নিশ্চিত কোনও ধারনা তৈরি হয়নি সাধারণ মানুষের মধ্যে। কাজেই কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন নাকি সামনে আরও যে ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেতে চলেছে সেটা নেওয়া উচিত, ভেবে কূল-কিনারা পাওয়া বেশ কঠিন হচ্ছে।
আরও শুনুন: COVID vaccine: কবে থেকে দেশে শুরু হতে পারে কমবয়সিদের টিকাকরণ?
সঠিক ভ্যাকসিন বেছে নেওয়ার আগে কোন ভ্যাকসিনের কী কার্যকারিতা সেটা জেনে নেওয়া দরকার।
কোভিশিল্ড তৈরি হয়েছে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার যৌথ উদ্যোগে। এই ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত এবং প্রথম ভারতে দেওয়া শুরু হয়। শিম্পাঞ্জির শরীরের অ্যাকডিনো ভাইরাস দিয়ে এই ভ্যা্কসিন তৈরি করা হয়। অ্যাথডিনো ভাইরাসের ক্ষতিকর অংশ বাদ দিয়ে সেখানে যোগ করা হয় করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন। আমাদের শরীর আগে থেকেই চিনে রাখে স্পাইক প্রোটিনকে। তাই করোনা ভাইরাসের মাধ্যমে যখন এই প্রোটিন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, শরীর চেনা শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে শুরু করে। এই ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নিতে হবে। দুটো ডোজের মধ্যে ব্যবধান রাখতে হবে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ। ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৭০ শতাংশ কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ভারতে এখনও এই ধরনের কোনও তথ্যি হাতে আসেনি, তবে মনে করা হচ্ছে ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও কার্যকরী হবে এই ভ্যাকসিন।
আরও শুনুন : Covid : বাচ্চারা কি সারাক্ষণ Mask পরবে! করোনাকালে ছোটদের সুরক্ষায় কী করবেন?
এবার আসি কোভ্যাক্সিনের কথায়। কোভিশিল্ডের সঙ্গে ভালই দ্বৈরথ শুরু হয়েছিল প্রথম দিকে। অনেকেই কোভ্যাক্সিনের অপেক্ষায় ছিলেন। ভারত বায়োটেক, আইসিএমআর এবং পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ভ্যাকসিন। মৃত করোনা ভাইরাস কোষ দিয়ে তৈরি এই ভ্যাকসিনে দুটো ডোজের মধ্যে ব্যবধান রাখতে হবে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যই অনুযায়ী এই ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা ৭৭.৮ শতাংশ। এর থেকেও বড় খবর এখন বাচ্চাদের ওপর এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে।
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।