প্লাস্টিক সার্জারি করে স্তন প্রতিস্থাপনের পথে হেঁটেছেন অনেক বলিউড নায়িকাই। স্তনের সৌন্দর্য বাড়লেই আকর্ষণ বাড়বে, এমনটাই মনে করেন তাঁদের অনেকে। তবে সম্প্রতি এক সমীক্ষা জানাচ্ছে ঠিক এর উল্টোটা। বর্তমানে অধিকাংশ মহিলার মধ্যে নাকি স্তনের আকার ছোট করানোর প্রবণতা দেখা দিয়েছে। কী এমন কারণ রয়েছে এর নেপথ্যে? আসুন শুনে নিই।
প্রকৃতি যে শরীর দিয়েছে তা মনের মতো নয়। তাই নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে অনেকেই বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন। বিশেষত যারা অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা নিজেকে সুন্দর দেখাতে বিপজ্জনক অস্ত্রোপচার করতেও দুবার ভাবেন না। যার মধ্যে অন্যতম স্তন-প্রতিস্থাপন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই বিশেষ পদ্ধতির সাহায্যে স্তনের আকার নিজের ইচ্ছা মতো ছোট বা বড় করা যায়। কিন্তু সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা জানাচ্ছে এক অন্য কথা।
আরও শুনুন: গোপন অঙ্গেও রোম থাকবে না সুন্দরীর, কেন চালু হয়েছিল এই ধারণা?
মূলত ভারতীয় মহিলাদের নিয়ে করা এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০২১ সালে প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার মহিলা স্তন প্রতিস্থাপন করিয়েছেন। তাঁর মধ্যে ১৫ হাজার মহিলা অস্ত্রোপচার করিয়েছেন স্তনের আকার ছোট করার জন্য। এক্ষেত্রে স্তনের ভিতরে থাকা টিস্যুগুলিকে সংকুচিত করিয়েছেন তাঁরা। যার ফলে সার্বিক ভাবে তাঁদের স্তনের আকার ছোট হয়েছে। কিন্তু অনেকেই যখন মনে করেন শরীরের এই বিশেষ অঙ্গটি তাঁদের শরীরী আবেদন বাড়াবে, তখন এতজন মহিলা স্তন ছোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন?
আরও শুনুন: যৌনতায় সুখ পেলেও কমছে না উদ্বেগ! সঙ্গমের পরেই বিষাদের হানা… নেপথ্যে কী কারণ?
আসলে এর নেপথ্যে রয়েছে অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তির চেষ্টা। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ মহিলাই মনে করেন, তাঁদের স্তনের আকার যথেষ্ট বড়। যার ফলে তাঁদের ঘাড় ও পিঠে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আসলে এই বড় স্তনের ক্ষেত্রে আকার ঠিক রাখার জন্য আঁটসাঁট অন্তর্বাস পরতে হয় তাঁদের। তার থেকেই এই ধরনের সমস্যা দেয়। এমনকি এর জন্য ঘুমাতেও অসুবিধা হয় বলেই দাবি তাঁদের। তাই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্তনের আকার ছোট করাতে চাইছেন এঁরা। এ ব্যাপারে চিকিৎসকরাও একই মত পোষণ করেছেন। বিখ্যাত এক প্লাস্টিক সার্জেনের মতে, ভারতীয় মহিলাদের স্তন বিশ্বের অন্যান্য দেশের মহিলাদের তুলনায় কিছুটা হলেও বড় হয়। তাই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেউ নিজের স্তন ছোট করতে চাইলে কোনও সমস্যা নেই। বরং তাঁদের শরীরের জন্য এই ব্যবস্থা ভালো। তবে এই চিকিৎসার ক্ষেত্রে মোটা টাকাই খরচ করতে হয়। কোনও স্বাস্থ্য বীমা সেই খরচ বহন করে না। তবুও নিজেদের স্বচ্ছন্দ্যের স্বার্থে এই পথে হেঁটেছেন এতজন মহিলা।