নিজে হয়তো বাজি পছন্দ করেন না। তবে আশেপাশে অনেকেই তো করে। আর দীপাবলির মরশুমে নয় নয় করে বাজির দেখা মেলেই। ফলত দূষণে ভারী হয়ে ওঠে বাতাস। তাতে হাজারও শারীরিক সমস্যার সম্ভাবনা। এই সময়টায় কীভাবে সাবধানে থাকবেন?
দূষণের মধ্যেই চলছে দীপাবলি পালন। জ্বলে উঠছে অসংখ্য প্রদীপ। আলোর উৎসবে যেমন আনন্দের ফোয়ারা, তেমনই তাড়া করে বেড়ায় দূষণের ভয়। এমনিতেই শীতের শুরুতে শ্বাসকষ্টজনিত নানা সমস্যা দেখা যায়। যাঁদের ক্রনিক সমস্যা, তাঁরা তো সাবধানতা অবলম্বন করেই থাকেন। তবে দিন দিন দূষণের মাত্রা যেভাবে বাড়ছে, তাতে প্রত্যেককেই এই সময়ে সতর্ক থাকতে হবে।
আরও শুনুন: আজিনামটো খেতে মানা! কিন্তু এতে কী ক্ষতি হয় শরীরের?
সাধারণ কয়েকটি পদক্ষেপেই নিজেকে দূষণের হাত থেকে খানিকটা বাঁচানো যেতে পারে। যেমন, অনেকেরই মর্নিং ওয়াকের অভ্যাস আছে। তবে, বাজি-প্রদীপ ইত্যাদি জ্বলার কারণে এই সময় সকালের বাতাস ভারী হয়ে থাকে। তাই সকালের হাঁটাহাঁটি প্রয়োজনে বন্ধ রাখা যেতে পারে। তবে, একেবারে বন্ধ নয়, সকালের বদলে সন্ধেয় হাঁটলেও একই রকম ফল মিলবে। দূষণের হাত থেকেও রেহাই মিলবে। অযথা বাইরে না বেরোনোই ভালো। বিশেষত বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিতে হবে। বড়দের তো কাজের প্রয়োজনে বেরোতেই হয়। সেক্ষেত্রে মাস্ক আবশ্যক। তাতে দূষণের হাত থেকে অনেকটা মুক্তি মেলে। যাঁদের চশমা আছে তাঁদের চোখও ঢাকা থাকে। যাঁদের নেই, তাঁরা বিনা পাওয়ারের একটি চশমা পেতে পারেন। এতে দূষণের কারণে চোখে যে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তা খানিকটা আটকায়।
রান্নাঘর এবং বাথরুম যেন বদ্ধ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। চিমনি ও একঝস্ট ফ্যান ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা দেখে নিতে হবে। বাতাস পরিশুদ্ধ করে এরকম ইন্ডোর প্ল্যান্ট রাখা যেতে পারে। দূষণের মাত্রা আরও বেশি হলে বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে হবে। ঘরের জানলাও সব সময় খোলা রাখার দরকার নেই। সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জানলা খোলা রেখে বাকি সময় জানলা বন্ধ রাখাই ভালো।
আরও শুনুন: উদ্দাম সঙ্গমে মশগুল! যোনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কী করবেন?
এ ছাড়া এই সময়টা নিয়মিত যোগব্যায়াম করা দরকার, বিশেষত, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা প্রাণায়াম। খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন, যাতে খাবারের তালিকায় ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার থাকে। তাতে ফুসফুস ভালো থাকে। সেই সঙ্গে বেশি করে জলও খেতে হবে। স্টিম ইনহেল বা গরম জলের ভাপ নেওয়া খুবই জরুরি। এতে শরীর থেকে দূষিত কণা অনেকটাই বেরিয়ে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়। যাঁদের অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁরা সঙ্গে ইনহেলার রাখুন। আর যদি শারীরিক অস্বস্তি বাড়ে তবে, সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসককে জানান। যাঁদের আপাতত তেমন সমস্যা হচ্ছে না, তাঁরাও সাবধানে থাকুন। দূষণের সঙ্গে লড়াই সহজ কাজ নয়। তবে, সাবধানতা অবলম্বন করাই যায়। তাতে বিপদের সম্ভাবনা একটু হলেও কমে।