‘টল ডার্ক হ্যান্ডসাম’, এই যেন পুরুষের সৌন্দর্যের শেষ কথা। রুপোলি পর্দার অভিনেতা হোন বা পর্ন দুনিয়ার তারকা, লম্বা, সুগঠিত চেহারার পুরুষদেরই সাধারণত এগিয়ে রাখা হয়। কিন্তু যৌনতার ক্ষেত্রে নাকি ব্যাপারটা উলটো। সেখানে এগিয়ে তুলনামূলক কম উচ্চতার পুরুষরাই, এমনটাই দাবি করেছে এক সমীক্ষা। ঠিক কী জানিয়েছে সমীক্ষার রিপোর্ট? শুনে নেওয়া যাক।
নেপোলিয়ন থেকে শচীন তেন্ডুলকর। শাহরুখ খান থেকে আমির খান। কম উচ্চতা যে জীবনে এগোনোর পথে বাধা নয়, সে কথা অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ করেছেন এই পুরুষেরা। কিন্তু তারপরেও একরকম ধারণা রয়েই গিয়েছে যে, পুরুষালি মানেই কাউকে লম্বা, সুগঠিত চেহারার হতেই হবে। ফলে উচ্চতা কম হলে হীনম্মন্যতায় ভোগেন অনেক মানুষই। আর তার প্রভাব পড়ে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বা যৌন জীবনেও। কম পুরুষালি, সুতরাং যৌন ক্ষমতাও কম, এমন একটা ধারণা মনে মনে পুষে রাখেন অনেক পুরুষ ও নারীই। কিন্তু সে কথার কি আদৌ কোনও ভিত্তি আছে? তা জানতেই সমীক্ষা চালিয়েছিল ‘দ্য জার্নাল অফ সেক্সুয়াল মেডিসিন’। আর সেই সমীক্ষায় যে ফল পাওয়া গিয়েছে, তা রীতিমতো চমকে দিয়েছে গবেষকদের।
আরও শুনুন: দীর্ঘ সময় নয়, বয়সেই লুকিয়ে চাবিকাঠি! কোন বয়সে যৌনতায় বেশি তৃপ্তি পান মহিলারা?
জানা গিয়েছে, ৫৩১ জন পুরুষের উপর এই সমীক্ষা চালিয়েছিল বিজ্ঞান পত্রিকাটি। যাঁরা সকলেই হেটেরোসেক্সুয়াল অর্থাৎ বিষমকামী। সোজা কথায়, মহিলাদের সঙ্গেই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন তাঁরা। দেখা যাচ্ছে, সেইসব পুরুষের মধ্যে যাঁদের উচ্চতা কম, তাঁরা কিন্তু নিয়মিত যৌনতার ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা এগিয়ে অন্য পুরুষদের থেকে। গবেষণা জানাচ্ছে ১৭৫ সেন্টিমিটার বা প্রায় ৫ ফুট ৯ ইঞ্চির কম উচ্চতার পুরুষরা অপেক্ষাকৃত লম্বা পুরুষদের তুলনায় যৌন মিলনে বেশি আগ্রহী। এবং এই পুরুষদের ক্ষেত্রে মিলন বেশি সুখকর, এমনটাও দাবি করা হয়েছে সমীক্ষার রিপোর্টে।
আরও শুনুন: সঙ্গমেই লুকিয়ে শক্তির উৎস! ৫০০ মহিলার সঙ্গে মিলনের পর দাবি তারকা বক্সারের
এখানেই শেষ নয়। এই প্রসঙ্গেই নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা জানাচ্ছে, কম উচ্চতার পুরুষেরা যে যৌন জীবনে বেশি উদ্যোগী শুধু তাই নয়, তাঁদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের হার প্রায় ৩২ শতাংশ কম। সব মিলিয়ে গবেষণা জানাচ্ছে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেঁটে পুরুষরাই নাকি ভাল সঙ্গী। কেবল যৌন সম্পর্ক নয়, সামগ্রিক ভাবে সম্পর্কের খুঁটিনাটি দিকগুলিতেও তারা বেশি নজর রাখেন। তবে কেন এরকম ঘটে তা নিয়ে নিশ্চিত নন গবেষকরা। অনেকের মতে, এর পেছনে রয়েছে ‘নেপোলিয়ন কমপ্লেক্স’। এই তত্ত্ব বলে, উচ্চতা কম হলে, নিজেদের পৌরুষকে প্রতিষ্ঠিত করতে অনেক বেশি যত্ন নেন পুরুষেরা। উলটোদিকে, লম্বা, তথাকথিত পুরুষালি বৈশিষ্ট্য থাকা পুরুষদের অনেকেরই আত্মবিশ্বাস খুব বেশি থাকে। কারণ চলতি ধারণা তাঁদের প্রথম থেকেই ‘এলিজিবল ব্যাচেলর’-এর তকমা দেয়। তাই অন্যদের চোখে নিজেকে ভাল প্রমাণ করার জন্য যে যত্ন নিতে হয়, সে বিষয়ে কোনও দায় বোধই করেন না ওই পুরুষেরা। আর নিজেকে প্রমাণ করার জন্য বেশি পরিশ্রম করার সুবাদেই তাঁদের পিছনে ফেলে দিতে পারেন কম উচ্চতার পুরুষেরা, এমনটাই দাবি করেছেন গবেষকরা।