অনেকেই মানে কমবয়সিরা কিছুতেই শাক খেতে চায় না। আবার মা-ঠাকুমাদের কাছে শাকের গুরুত্ব যেন সবথেকে বেশি। বাঙালির পেটপুরে খানাপিনার গোড়াতেই থাকে শাক। শাকে থাকে নানাবিধ উপকারী উপাদান। শাকগুলির মধ্যে কোনটা খাবেন, কেন খাবেন – সেই কথা বলা যাক।
কথায় বলে, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। এ কথার অন্য যা যা অর্থ হয়, সে নাহয় সরিয়েই রাখা গেল আপাতত। বাঙালির খাবার থালায় মাছের বিকল্প কখনই শাক নয়। কিন্তু শাকেরও যে আলাদা রকম গুরুত্ব আছে, সে কথা মানতেই হবে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে আমরা বলি, দিনান্তে যেন শাকান্ন জোটে। দেবী দুর্গার অন্যতম নাম শাকম্ভরী। কালীপুজোর আগে ভূত চতুর্দশীর দিন বাঙালির রেওয়াজ রয়েছে চোদ্দ শাক খাওয়ার। আবার সরস্বতী পূজোর পরদিন গোটা সেদ্ধর অন্যতম উপকরণ পালং শাক। শীতকাল আর বর্ষাকাল এই দুই সময় হল শাকের জন্য আদর্শ। শাক দামে সস্তা, যে কোনও বাজারে মেলেও সহজে। বুঝতেই পারছেন, শাক কিন্তু হেলাফেলার বস্তুটি নয়।
আরও শুনুন – শুধু রূপচর্চায় অপরিহার্য নয়, চন্দন গাছ আপনাকে বানাতে পারে কোটিপতি
শাকের কথা বলতে এলে প্রথমেই বলতে হবে পালং শাকের কথা। এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে। এ ছাড়া মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সালফার। আছে অ্যামিনো অ্যাসিড, ফলিক অ্যাসিড, আলফা লিপোইক অ্যাসিড। এইগুলি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। ইমিউনিটি বাড়ায়। নার্ভের সমস্যা থেকে রক্ষা করে। মাংস, ডিম বা মাছে যে পরিমাণ প্রোটিন থাকে, সেই সমপরিমাণ প্রোটিন রয়েছে পালং শাকে। যারা রক্তাল্পতায় ভোগেন তাঁদের জন্য অব্যর্থ এই শাক। যারা কিডনির সমস্যায় ভোগেন এই শাকের তাঁদেরও খুব উপকারে লাগে। পালং শাকে খানিক লেবুর রস মিশিয়ে খেলে তা শরীরের পুষ্টিতে খুবই কাজে লাগে।
আরও শুনুন – রোজ ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপকারী?
আবার আসা যাক আর এক শাকের কোথায়। ‘আমার কথাটি ফুরলো/ নটে গাছটি মুড়লো।’ – এ তো শুনেইছেন। এই নটে শাক কিন্তু বেশ সুস্বাদু, রুচি বাড়ায়, হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য প্রচণ্ড সহায়ক। এই শাকে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন ই, সি, বি ওয়ান, বি টুয়েলভ, আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাসিয়াম। এই শাক খেলে শরীরের ব্যাড কোলেস্টরল কমে। হার্ট সুস্থ থাকে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।