দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন। দেখতে দেখতে ভারতে তিনশোর কোটা পেরিয়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। ভয়ঙ্কর ভাবে সংক্রামক এই ভাইরাস উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের। তার উপর উৎসবের মরসুম। তারই সুযোগ নিয়ে মারকাটারি হয়ে উঠবে না তো করোনার এই নয়া স্ট্রেন। সর্দি কাশি, গলা ব্যথা, দুর্বলতা- ওমিক্রনের এমন সব লক্ষণের কথা তো আগেই শুনেছেন। তবে এ বার চিকিৎসকেরা বলছেন অন্য লক্ষণের কথা? কী সেই লক্ষণ? শুনে নিন।
ওমিক্রনের আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। ভারতেও পাল্লা দিয়ে রোজ রোজ বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতাতেও ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে ভয়ঙ্কর সংক্রামক করোনার এই নয়া স্ট্রেন। এরই মধ্যে চিকিৎসকেরা আবার জানাচ্ছেন নয়া লক্ষণের কথা।
করোনার দু-দুটো ঢেউ, লকডাউন, অর্থনৈতিক টালমাটাল অবস্থা, সব মিলিয়ে ল্যাজেগোবরে অবস্থা আমাদের। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের চোখ রাঙানো শুরু করেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। ইতিমধ্যেই ওমিক্রনকে ‘বিপজ্জনক’ আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেই যে স্বস্তি মিলবে, এমনটা কিন্তু নয়। তার উপরে ব্যাপারটা এতটাই নতুন, যে সবটুকু বুঝে ওঠা চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞদের পক্ষেও সম্ভব হচ্ছে না।
করোনার প্রথম দুটো স্ট্রেনের ক্ষেত্রে স্বাদ গন্ধ চলে যাওয়া ছিল প্রধান লক্ষণ। তবে ওমিক্রনের সে সব ঝক্কি নেই। সাধারণ জ্বর-সর্দি, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি এবং দুর্বলতা। এতদিন পর্যন্ত ওমিক্রনের এই লক্ষণগুলির কথাই শুধু জানা গিয়েছিল। তবে ব্রিটেনের এক দল চিকিৎসক এবার জানালেন নতুন লক্ষণের কথা।
আরও শুনুন: পোষ্যদের থেকেও কি সম্ভাবনা আছে করোনা সংক্রমণের? বিশেষজ্ঞরা বলছেন…
রাতে ঘুমোতে ঘুমোতে হঠাৎ করেই প্রচণ্ড গরম লেগে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। ঘেমে নেয়ে একশা হয়ে যাচ্ছেন। এমন কি বদলে ফেলতে হচ্ছে পোশাকও। এমন লক্ষণ কিন্তু ওমিক্রনের লক্ষণ হতেই পারে। অন্তত তেমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের ওই দলটি।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, গলা ব্যথা বা চুলকানো, শুকনো কাশি, খুব দুর্বল লাগা বা পেশিতে ব্যথা এসব লক্ষণ তো আগে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে ছিলই। সম্প্রতি ওমিক্রন আক্রান্তদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই প্রধান লক্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মাঝরাত্তিরে ঘেমে নেয়ে ওঠা। এমন উপসর্গ দেখলে অবশ্যই পরীক্ষা করানো দরকার বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: বাহারি কাপড়ের মাস্ক পরে রাস্তায় বেরোন! ওমিক্রনের বিপদ কিন্তু এতে কাটবে না
ওমিক্রন মারণ না হলেও ডেল্টার থেকেও কয়েক গুণ বেশি সংক্রমণ ক্ষমতা রয়েছে ওমিক্রনের। আর সেটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ।
এরই মধ্যে রটে গিয়েছে বাজারে এসেছে নতুন ভাইরাস ডেলমিক্রন। ডেলটা আর ওমিক্রনের নয়া মিশেল বলেই মনে করা হচ্ছে তাকে।তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা অন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থার তরফে এমন কোনও স্ট্রেন রয়েছে বলে জানানো হয়নি। মনে করা হচ্ছে, ওমিক্রন আতঙ্ক থেকেই এমন সব কথাবার্তা রটে যাচ্ছে। যার তেমন কোনও সত্যতা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে প্রাথমিক ভাবে। তবে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে সমস্ত রাজ্যগুলিকে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর উপরে জোর দিতে বলা হয়েছে। কোভিড বিধি মেনে চলারও নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কারণ ওমিক্রন থেকে বাঁচতে সাবধান হওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই আমাদের সামনে।