ধূমপানের টানে কি কমছে যৌন মিলনের প্রতি টান? মহিলাদের ধূমপানের প্রবণতা নিয়ে এবার শোনা গেল এমনই আশঙ্কার কথা। বিষয়টা ঠিক কী? শুনে নেওয়া যাক।
শরীরের নিজস্ব চাওয়া পাওয়াকে অস্বীকার করবে, এমন সাধ্য কার! কিন্তু অনেকসময় দেখা যায়, কোনও না কোনও কারণে ঘাটতি পড়ছে সেখানেই। একসময় যে উত্তেজনায় নিজেকে তরতাজা করে নিত শরীর, এখন সেই উত্তেজনা যেন ফুরিয়ে আসছে। কিংবা শরীরী খেলায় মেতে উঠলেও, ঠিক তেমন তৃপ্তিতে যেন আর পৌঁছনো যাচ্ছে না। কিন্তু কেন? শারীরিক সমস্যা যদি নাও থাকে, কাজের চাপ কিংবা মানসিক বাধা এমন নানা কারণেই যৌনতায় ভাটা পড়তে পারে। এবার সেখানেই আরও একটি সমস্যার কথা উসকে দিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্সুয়াল ডিসফাংশনের কারণ কী, মহিলাদের ক্ষেত্রে এ প্রশ্নের উত্তর খতিয়ে দেখতে গিয়ে তাঁরা বলছেন, এর বড় কারণ হয়ে উঠতে পারে ধূমপান। অর্থাৎ সিগারেটের প্রতি আসক্তির কারণেই যৌনতার প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলতে পারেন কোনও মহিলা। গবেষণা বলছে, যে মহিলারা ধূমপান করেন, তাদের মধ্যে ৩৪ শতাংশ মহিলার সেক্সুয়াল ডিসফাংশন দেখা যায়। আর যারা নিকোটিনের প্রতি অত্যন্ত নির্ভরশীল, তাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও তিন গুণ বেশি।
আরও শুনুন: রোজ হস্তমৈথুনে দিনে দিনে কমে বীর্য! নাকি উলটো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন…
এমনিতে গবেষণা বলছে শুধু ফুসফুস নয়, জননাঙ্গেরও ক্ষতি করতে পারে তামাক জাতীয় দ্রব্য। সিগারেটের উপাদানে আছে আর্সেনিক, টয়লেট ক্লিনারে ব্যবহৃত অ্যামোনিয়া, কীটনাশক ডিডিটি, নেলপলিশ রিমুভার অ্যাসিটোন, ব্যাটারিতে ব্যবহৃত ক্যাডমিয়াম, নিকোটিন-সহ আরও প্রায় ৭০০০ রকমের বিষ। মহিলাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ধূমপানে ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়ে পড়ে, অকালেই মেনোপজ এবং নানা স্ত্রীরোগের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিগারেটে বাড়াবাড়ি রকমের আসক্তি ডেকে আনতে পারে বন্ধ্যাত্ব বা ইনফার্লিটিও। কিন্তু সে নাহয় পরের কথা। তার আগে যৌন সুখের পথেও যে বড়সড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে নিকোটিনে আসক্তি, সে কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।