নিত্যদিনের ব্যবহার করা জিনিসগুলির মধ্যে মোবাইল ফোনের গুরুত্ব বোধহয় সবথেকে বেশি। সময় দেখা হোক কিংবা ছবি তোলা, এই একটি যন্ত্রের দ্বারাই হতে পারে সমস্ত কাজের সমাধান। কিন্তু সেই মোবাইলের মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে এমন কিছু অদৃশ্য জীবাণু, যার থেকে জন্ম নিতে পারে বিভিন্ন রোগ। কোথায় রয়েছে এমন তথ্য? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোন ছাড়া এক মুহূর্ত কাটানোর কথা ভাবতে পারেন না কেউই। পড়াশোনা হোক বা অন্য কোনও দরকারি কাজ, সবেতেই এই যন্ত্র সমান কার্যকরী। কিন্তু সেই মোবাইল ফোন থেকেই নাকি জন্ম নিতে পারে নানা ধরনের রোগ। গবেষণা জানাচ্ছে, শৌচাগারের মধ্যে থাকা জীবাণুকেও হার মানাতে পারে মোবাইল ফোনে জমে থাকা অদৃশ্য জীবাণু। হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনই দাবি করেছে আমেরিকার এক গবেষক দল।
আরও শুনুন: ‘মাদার কার্ড’ ছাড়া ভরতি নিল না হাসপাতাল, বিজেপিশাসিত কর্নাটকে মৃত্যু প্রসূতি ও যমজ সন্তানের
মানুষের ব্যস্ততম জীবনকে আরও গতিময় করে তুলতে সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে ‘স্মার্টফোন’-এর। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে জটিল সব প্রশ্নের উত্তর, সব সমস্যারই সমাধান পাওয়া যায় একটি ক্লিকে। তাই এক মুহূর্তের জন্যেও স্মার্টফোন কাজ না করলে, আমাদের জীবনটাই যেন থমকে যায়। বলাই বাহুল্য, দিনের বেশিরভাগ সময়ই এই যন্ত্র আমাদের হাতে থাকে। তবে এই অভ্যাস থেকেই নাকি শরীরে বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন ধরনের রোগ। অন্তত আমেরিকার এক গবেষণা তেমনই বলছে। গবেষণা অনুযায়ী, শৌচাগারের কমোডে থাকা জীবাণুর চেয়েও ১০ শতাংশ বেশি জীবাণু থাকে হাতের মোবাইল ফোনে। আসলে কোনও কাজ করতে গেলে আমরা বেখেয়াল হয়ে যত্রতত্র মোবাইল রেখে দিই। আর সেখান থেকেই নাকি মোবাইলের উপর জমে যেতে পারে বিভিন্ন ধরনের অদৃশ্য জীবাণু। এবং নিত্য ব্যবহারের বিভিন্ন জিনিস পরিষ্কার করলেও ফোন জীবাণুমুক্ত করার অভ্যাস অনেকেরই নেই। তাই চোখের আড়ালে জীবাণুরা সেখানেই নিরাপদে বাসা বাঁধে। তাই শৌচাগারে মোবাইল নিয়ে যেতেও কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। মোবাইল ব্যবহার করার পর কিছু খেতে গেলে হাত ভালো করে ধোয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা।
আরও শুনুন: বিয়েতে উপহার পেয়েছেন গাড়ি, আনন্দে চালাতে গিয়ে আত্মীয়দেরই পিষলেন যুবক
করোনা মহামারীকালে অনেকেই মোবাইল ফোনে জীবাণুনাশক ব্যবহার করতেন। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেসব অভ্যাসও পাল্টে ফেলেছেন অনেকেই। কিন্তু মোবাইল ফোনের গায়ে জমে থাকা ওইসব অদৃশ্য জীবাণু থেকে বাঁচতে হলে পুনরায় সেই অভ্যাস চালু করতে হবে, এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের। প্রচলিত জীবাণুনাশকগুলির মধ্যে ৭০ শতাংশের ব্যবহারে ফোনের স্ক্রিনের কোনও ক্ষতি হয় না বলেও জানিয়েছেন গবেষকেরা।