মন খারাপ হওয়া নতুন কিছু নয়, কম-বেশি সবারই সেই অভিজ্ঞতা আছে। তবে, মনখারাপেরও রয়েছে নানা ধাপ ও পর্যায়। কোনও মনখারাপ একটু বেশিই গুরুগম্ভীর, একটানা। আর সেই ধরনের টানা মনখারাপ, বিষণ্ণতা কিংবা হতাশার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের সাহায্য প্রয়োজন। আর কিছু মনখারাপ আছে, যাদের ছোটখাটো বলা যায়। তা, সেই সব খুচরো মনখারাপ তাড়াবেন কী করে? চটপট শুনে নিন মন ভালো রাখার কয়েকটি উপায়।
একেক দিন হয় না, কিছুতেই আপনার ভাল লাগছে না। অযথা, অকারণে চেপে ধরেছে মনখারাপ। কিংবা হয়তো নির্দিষ্ট কারণেই হল মনখারাপ। হয়তো ডেডলাইনে শেষ হয়নি কাজ। হয়তো ঝগড়া হয়েছে প্রিয়তম মানুষটির সঙ্গে। যে কোনও কারণেই হতে পারে মনখারাপ।
আর, মনখারাপ কিন্তু বলে কয়ে আসে না। কিন্তু তাই বলে মনখারাপ করে বসে থাকাটাও তো কোনও কাজের কথা নয়। তাই নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে বলে উঠুন- মনখারাপ তফাত যাও।
কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব? রইল তারই একগুচ্ছ টিপস।
তালিকার প্রথমেই রয়েছে হাসি। একটু জোর করেই হেসে উঠুন তো মশাই। শুনতে ক্লিশে লাগলেও এটা কিন্তু ভীষণ কার্যকরী। একটা ছোট্ট হাসিই দেখবেন আপনাকে অনেকটা চাঙ্গা করে দিতে পারে। জীবনের পজিটিভ দিকগুলো ভাবতে সাহায্য করতে পারে। আর অট্টহাসি হলে তো কথাই নয়।
আচ্ছা, লম্ফঝম্প করতে আপনার কেমন লাগে বলুন তো? ঠিক শুনেছেন, মনখারাপ ভুলতে একটু লাফালাফি করে নিন বরং। সেটা হতে পারে দড়ি লাফ, সেটা হতে পারে এমনি খালে হাতেই। লাফালাফি আপনার শরীরের এন্ডরফিন হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে। আমাদের হাসিখুশি থাকার জন্য দায়ী কিন্তু এই হরমোনটিই।
আরও শুনুন: সমালোচনা শুনলেই ঘিরে ধরছে হতাশা, ‘নেগেটিভিটি বায়াস’-এর লক্ষণ নয় তো?
সুগন্ধি নিশ্চই আপনার খুব প্রিয়। মনখারাপে এই গন্ধই কিন্তু হতে পারে আপানার জন্য গেমচেঞ্জার। সারা পৃথিবী জুড়েই অ্যারোমা থেরাপিকে বেশ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বিশেষত কমলালেবু বা অরেঞ্জের গন্ধ মনকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। ল্যাভেন্ডরেও রয়েছে সেই গুণ। মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে এই ঘ্রাণ।
খুব মনখারাপে মুখে টপ করে ফেলে দিন – একটা দুটো চুইংগাম। টেনশন, স্ট্রেসের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে এটি। আর আশপাশ দেখে নিয়ে ছোটবেলার মতো মুখ দিয়ে ফুলিয়ে বেলুনও বানাতে পারেন।
আরও শুনুন: চোখের তলায় কালি পড়ছে? রেহাই পান ঘরোয়া উপায়েই
ফুল কে না ভালবাসে! ছাদে কিংবা বাগানে গিয়ে রংবেরঙের ফুলের দিকে একবার ভাল করে দেখুন তো। আর গ্যাঁটে কড়ি থাকলে কিনেও নিতে পারেন বাহারি ফুল। মনকে দীর্ঘকালীন ভাবে ভাল রাখতে সাহায্য করে এটি। বাড়িয়ে তোলে সৃজনশীলতা।
চকলেট। আপনি কি জানেন, চকলেটের মতো মনখারাপের অব্যর্থ দাওয়াই আর দুটি নেই। স্বাদে তো দুর্দান্ত বটেই,মন ভাল করতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
জ্বালিয়ে দেখতে পারেন সুগন্ধী মোমও। স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এটিও।
বাকি অংশ শুনে নিন