সারাদিনে নানারকম উদ্বেগ, জটিলতা। অথচ তুমুল যৌনতা ভুলিয়ে দিতে পারে সে সবকিছু। শরীরী খেলায় একবার মেতে উঠলে কিছুক্ষণের জন্য মাথা থেকে হারিয়ে যায় বাকি যা কিছু চিন্তা। একইসঙ্গে নিয়মিত যৌনতায় সারবে একাধিক রোগও। কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে সপ্তাহে কতবার মিলিত হবেন? আসুন শুনে নিই।
যৌনতা নিয়ে যতই ছুঁতমার্গ থাকুক, এ জিনিস পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তফাৎ শুধু চাহিদায়। প্রতিদিন যৌনতায় মেতে উঠতে বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই কারও। আবার কেউ পছন্দ করেন অন্তত কয়েকদিনের বিরতি। সেক্ষেত্রে সপ্তাহে কতবার মিলিত হওয়া সুরক্ষিত এই প্রশ্ন অনেক দম্পতিই খুঁজে বেড়ান। আবার ঠিক কতদিন অন্তর যৌনতা সারলে রোগ ভোগের সম্ভাবনা কমে, সে নিয়েও কৌতূহল রয়েছে অনেকেরই। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই বিষয়েই একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও শুনুন: উৎসবের মরশুমে হাবিজাবি খাওয়া! অজান্তেই যোনির ক্ষতি হচ্ছে? জেনে রাখুন
শরীরে সুখ মিললে কমে যায় মনের উদ্বেগ। এমনটা অনেকেই দাবি করেন। আর মনের সুখ কমিয়ে দেয় অন্যান্য অসুখ। তাই রোগ সারাতে যৌনতার জুড়ি মেলা ভার, এমনটাও বলাই যায়। আসলে সঙ্গমের ফলে যে হ্যাপি হরমোন ক্ষরণ হয় আর তাতেই কাজ হয় ম্যাজিকের মতো। একইসঙ্গে যৌনতাও এক ধরনের শরীরচর্চা। তাই এতে শরীরের উপকার হবে এমনটা বলাই বাহুল্য। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, শরীর ঠিক রাখতে সপ্তাহে কতবার মিলিত হওয়া উচিত?
আরও শুনুন: উদ্দাম যৌনতার পরেও মিলছে না চূড়ান্ত সুখ… সঙ্গমের আগে এই খাবারগুলি খাচ্ছেন না তো?
এ বিষয়ে পেনসিলভেনিয়ার এক বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সমীক্ষা চালিয়েছিল। সেখানকার পড়ুয়াদের যৌনতার অভ্যাস নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করেন গবেষকরা। মূলত সপ্তাহে কার কতবার যোন সঙ্গমের অভ্যেস রয়েছে সেই প্রশ্নই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাদের করা হয়। কেউ যেন প্রভাবিত হয়ে ভুল উত্তর না দেয়, সে দিকেও বিশেষ নজর দেন গবেষকরা। দেখা যায়, কেউ উত্তর দিচ্ছেন সপ্তাহে প্রতিদিন যৌনতা সারেন, আবার কারও পছন্দ সপ্তাহে খুব বেশি হলে ৩ বার। এরপর তাঁদের সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন গবেষকরা। সেখানেই দেখা যায়, সপ্তাহে একাধিক বার যে পড়ূয়ারা মিলিত হন, তাঁদের মধ্যে জীবাণু ও ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা বেশি। এমনকি, তাঁদের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির পরিমাণও অন্যদের তুলনায় বেশি। এদিকে যাঁদের নিয়মিত মিলনের অভ্যেস নেই তাঁরা তুলনায় বেশিবার অসুস্থ হন। অন্যদিকে, ক্যালিফোর্নিয়া-সান ফ্রান্সিসকো বিশ্ববিদ্যালয়ের একগবেষণাও প্রায় একই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেখানকার গবেষকদের মতে, যাঁরা সপ্তাহে অন্তত কয়েকবার সঙ্গমে লিপ্ত হন, তাঁরা অনেক বেশি সুস্থ রয়েছেন, যাঁদের মিলনের অভ্যাসই নেই তাঁদের তুলনায়। এরপরই গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে আসেন, যে সপ্তাহে ৫বার মিলিত হওয়া যেতেই পারে। অবশ্যই শরীরের ক্ষমতা বুঝে। বা সঙ্গী পছন্দ করছেন না তবুও জোর করে মিলিত হতে চাইলে হিতে বিপরীত হবে। সেক্ষেত্রে সপ্তাহে অন্তত তিনবার যৌনমিলন হতেই পারে। এতে শরীর ও মন দুই-ই ভালো থাকবে। একইসঙ্গে শরীরের বাড়তি মেদও ঝরাতে পারে যৌন সঙ্গম। যা অবশ্যই পরবর্তীকালে বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারত।