শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকেই। কিন্তু একসঙ্গে সমস্ত ফল খেলে হতে পারে মারাত্মক বিপদও। ঠিক যেমন, অতি পরিচিত কলা আর কমলালেবু। এই দুই ফল একসঙ্গে খেলে ঠিক কী বিপদ হতে পারে জানেন? আসুন শুনে নিই।
জলখাবারে দুধ, পাউরুটির সঙ্গে অনেকেরই কলা খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। শীতকালে এর সঙ্গেই যোগ হয় কমলালেবু। কেউ কেউ জুস করেও লেবু খান। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দুই ফল একসঙ্গে খাওয়া মোটেও উচিত না। শুধু কলা বা কমলালেবু নয়, যে কোনও টক এবং মিষ্টি জাতীয় ফল একসঙ্গে খেলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে।
আরও শুনুন: কিছুতেই সারছে না সর্দি-কাশি, কমলালেবু খেয়েই বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
ফলের উপকারিতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠে না। মরশুমি ফল তো বটেই, সারাবছর খাওয়া যায় এমন ফলও শরীরের জন্য উপকারী। ফল খাওয়ার সময় কয়েকটা নিয়ম মাথায় না রাখলে বিপদ। প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে, একসঙ্গে যেন টক ও মিষ্টি ফল খাওয়া না হয়। এতে হজমের সমস্যা হতে পারে। একইভাবে দই বা দুধের সঙ্গেও ফল মিশিয়ে খাওয়া উচিত নয়। টক ফল তো একেবারেই না। কারোণ সেক্ষেত্রে দু ধরনের অ্যাসিড মিলে অন্য রকমের বিক্রিয়া করবে, যা শরীরের জন্য মোটেও উপকারী নয়। এছাড়া ভারী খাবার খাওয়ার পরই ফল খাওয়া ঠিক না। অন্তত কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ফল খাওয়া উচিত। তাও দিনের বেলা। রাতের খাবার খেয়ে ফল না খাওয়াই ভালো। এক্ষেত্রে বদ হজমের সমস্যা হতে পারে। কারণ দিনের বেলা শরীরে বিপাক হার বেশি থাকে, যা রাতে অনেকটাই কমে যায়। ফলে রাতে ফল হজম করা খানিক সমস্যার হতে পারে। এখানেই শেষ নয়, ফল খেয়েই জল খাওয়া একেবারেই উচিত না। বিশেষ করে টক জাতীয় ফল।
আরও শুনুন: ঠান্ডা পড়তেই এড়িয়ে যাচ্ছেন দই, ক্ষতি করছেন না তো?
এ তো গেল ফল খাওয়ার সময় কী কী করবেন না, সেই তথ্য। এবার আসি ফল খাওয়ার সময় কী করা উচিত সেই প্রসঙ্গে। প্রথমেই ফল খাওয়ার আগে তা ভালো করে ধুয়ে নিন। কারণ বেশিরভাগ ফলেই আসল পুষ্টিগুণ তার খোসায়। সেক্ষেত্রে গোটা ফলটা খাওয়াই উপকারী। তাই ধুয়ে না নিলে খোসায় বিভিন ব্যাকটেরিয়া থেকে যেতে পারে। আপেল, শশা, এইসব ফল গোটা খাওয়াই উপকারী। প্রয়োজনে খোসা ছাড়ানো যেতেই পারে। সেক্ষেত্রে খোসা ফেলে না দিয়ে রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এইসব নিয়ম মেনে ফল খেলেই সমস্যা হবে না। একইসঙ্গে যে কারণে ফল খাওয়া, সেই প্রয়োজনও মিটবে।