সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। তাই খাওয়ার আগে আর কিছু না হোক, হাতদুটো ভালো করে ধুয়ে ফেলেন অনেকেই। কিন্তু সবসময় এমনটা করলে হতে পারে অন্য বিপদ। কেমন সমস্যা হতে পারে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বাড়ি ফিরেই হাত মুখ ধোয়ার অভ্যেস থাকে অনেকের। এতে কোনও ভুল নেই, বরং রোগ থেকে বাঁচতে এমনটাই করা উচিৎ। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। রোগের ভয়ে বারবার হাত ধোওয়া যদি অভ্যাস হয়ে যায়, তাহলে বিপদ! সম্প্রতি এই নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন বিশেশজ্ঞর। তাতেই ধরা পড়েছে ঠিক কী কী সমস্যা হতে পারে, অতিরিক্ত হাত ধোওয়ার জেরে।
কথায় কথায় হাত ধোওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। শুধু হাত কেন, কিছু হলেই বাথরুমে ঢুকে মাথায় জল ঢালতে শুরু করেন কেউ কেউ। এমনটা এক ধরনের মানসিক রোগই বটে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এই মানসিক অবস্থা আরও অনেক রকমের বিপদ ডেকে আনতে পারে। বারবার হাত ধুলে প্রথমেই যে সমস্যা হবে, সেটা ত্বকের। বেশিক্ষণ জল ঘাঁটলে চামড়া যেমন কুচকে যায় এক্ষেত্রেও তেমনটাই হবে। তবে অন্য সময় ওই কুঁচকে যাওয়া চামড়া ঠিকও হয়ে যায়, তবে এক্ষেত্রে হবে না। পাকাপাকিভাবে হাত বা পায়ের চেহারা হবে ওইরকম। কিছুদিন পর ওই জায়গায় ইনফেকশনও হতে পারে। তা সারানোর জন্য রীতিমতো চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। এখানেই শেষ নয়, অতিরিক্ত হাত ধোওয়ার অভ্যেস কারণ হতে পারে আরও অনেক বিপদের। তাতে পেটের সমস্যাও বাদ যাবে না! প্রাথমিকভাবে একথা শুনলে মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, হাত ধোওয়ার জন্য পেটের ব্যারাম?
বিষয়টা একটু খুলে বললেই বোঝা যাবে। একথা অস্বীকারের উপায় নেই, হাত পরিষ্কার থাকলে পেটের অসুখের সম্ভাবনা কমে। কিন্তু অতিরিক্ত হাত ধুলে হাতে থাকা গুড ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়। আবার ত্বকের রোগ হলে চামড়ায় জমতে শুরু করে জীবাণু। সেইসব খাবারের সঙ্গে মিশলে পেটের সমস্যা হতে বাধ্য। যাই হয়ে যাক, হাতে গ্লাভস পরে খেতে পছন্দ করেন না কেউই। সুতরাং অতিরিক্ত হাত ধোওয়ার জন্য যে ত্বকের সমস্যা হয়, তা উপেক্ষা করেই খাবার খেতে বাধ্য থাকেন আক্রান্তরা। সেভাবেই শুরু হয় সমস্যা। আসলে, কোনও কিছুই অতিরিক্ত করা বিশেষ মানসিক অবস্থাকে ইঙ্গিত করে। তা ভবিষ্যতে আরও বড় আকার নেয়। মনের সমস্যা মনের অজান্তেই মাথার ব্যারাম হয়ে উঠতে পারে। তাতে স্মৃতিভ্রম থেকে শুরু করে অনেক কিছুই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভাবছেন তো, সামান্য হাত ধোওয়া থেকে এতকিছু! আজ্ঞে না, সমস্যাটা সামান্য হাত ধোওয়া নিয়ে নয়, অতিরিক্ত হাত ধোওয়া নিয়ে। তাই এমন অভ্যাস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা বা বদলে ফেলাই মঙ্গল।