পুজো মানেই নতুন জুতো! কিন্তু সারারাত সে জিনিস পায়ে থাকলে ফোস্কা অবধারিত। তাই বলে কী ঠাকুর দেখা বন্ধ? একেবারেই না। শুধু নতুন জুতো পরার আগে খেয়াল রাখতে হবে কয়েকটা বিষয়। ঠিক কী করলে ফোস্কা থেকে রেহাই মিলবে? আসুন শুনে নিই।
পুজো মানেই প্যান্ডেল হপিং। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পায়ে হেঁটে। সেক্ষেত্রে জুতো মনের মতো হওয়া চাই। নাহলে মাঝপথেই সমস্যায় পড়তে হবে। এদিকে নতুন জুতো পরে একটু বেশি হাঁটলেই পায়ে ফোসকা অবধারিত। সে অবস্থায় বেশি হাঁটলে রক্তারক্তি পর্যন্ত হতে পারে। তাহলে উপায়?
একটা নয়, উপায় রয়েছে বেশ কয়েকটা। আর সবক্ষেত্রেই সাধারণ কিছু ঘরোয়া টোটকা মানলে কাজ হবে। প্রয়োজন কয়েকটা সাধারণ জিনিস। প্রথমেই, নারকেল তেল। নতুন জুতোর ভিতরের অংশে বেশ কিছুটা নারকেল তেল লাগিয়ে নিতে হবে। কাজটা আগের রাতে সেরে ফেললে সবথেকে ভালো। কাপড়ের জুতোয় তেল লাগালে ক্ষতি নেই। চামড়ায় জুতোও নারকেল তেলে নষ্ট হয় না। তবে এমনটা করলে পায়ের ফোসকা থেকে নিশ্চিন্তে রেহাই মিলতে পারে। তবে হ্যাঁ, বেরোনোর আগে ভালভাবে শুকনো কাপড় দিয়ে জুতোর ভিতরটা মুছে নিতে হবে। অন্যথায় পা থেকে জুতো খুলে যেতে পারে বারবার। অনেকে পায়ের পাতা এবং উপরের দিকেও নারকেল তেল লাগিয়ে নেন। এতেও সমস্যা নেই। কিংবা ময়শ্চারাইজার, পেট্রোলিয়াম জেলিও একইভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে। আসলে দীর্ঘক্ষণ শক্ত চামড়ায় তেল লাগিয়ে রাখলে তা কিছুটা হলেও নরম হয়। একইভাবে পায়ে তেল মেখে জুতো পড়লে ফোসকার আশঙ্কা অনেকটাই কমে। তবু নতুন জুতো দীর্ঘক্ষণ পরলে পায়ের কিছু জায়গা অন্তত লাল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খেয়াল রাখতে হবে, সেটাই হল ফোস্কার পূর্ব লক্ষণ। বাড়ি ফিরে পায়ে এমনটা হয়েছে দেখলে, অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বা অয়েললেন্ট লাগিয়ে নেওয়া জরুরি। সারারাত ওইভাবে থাকলে পা আবার স্বভাবিক হয়ে যাবে। তারপর একই জুতো পরলেও বিশেষ চিন্তার কিছু নেই। যদিও এইদিনটা পা-কে বিশ্রাম দিলে সবথেকে ভালো। একই জায়গায় বারবার ঘষা লাগলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাও অনেকসময় অসাবধানে ফোসকা পড়ে। এক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে ব্যাণ্ডেড। ফোসকার অংশে লাগিয়ে নিলে ঘষা থেকে বাঁচানো যাবে পা। প্রয়োজনে জুতো বদলাতে হবে। ঢাকা জুতোয় সমস্যা হলে চটি, তাতেও যদি আঙুলের মাঝে ফোসকা পড়ে তাহলে অন্যরকমের জুতো ব্যবহার করতে হবে।
আসলে, দুর্গাপুজোয় ভিড় হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেখানে সব মণ্ডপে গাড়ি করে ঘোরাও সম্ভব নয়। ভিড়ের মধ্যে ঠাকুর দেখার একমাত্র ভরসা পায়ে হাঁটা। তাই জুতো নিয়ে সচেতন না হলে বিপদ। বিশেষ কিছু জুতোয় ফোসকা পড়ে না, কিন্তু তা যে ফ্যাশনের সঙ্গে মিলবে এমন কথা নেই! নতুন জামা, নতুন গয়নার মতোই পুজোয় নতুন জুতো না হলে চলে না অনেকের। সেক্ষেত্রে আগেভাগে ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগিয়ে সাবধান হতে হবে। অন্যথায় ভিড়ের মাঝে খালি পায়ে জুতো হাতে হাঁটতে হতে পারে! কী ভাবছেন দুর্গাপুজোয় এমন দৃশ্য অনেক দেখেছেন? সে কথা একশো ভাগ সত্যি, শুধু তাতে শামিল না হওয়াই বাঞ্ছনীয়।