খোলামেলা পোশাক ছাড়িয়ে উপচে উঠবে যৌবন। সেদিকে তাকিয়ে থমকে যাবে হাজার চোখ। কিন্তু তার জন্য যে চাই মসৃণ নির্লোম ত্বক। তাই শরীরের রোম তুলে ফেলার পথে হাঁটেন অনেক মহিলাই। কিন্তু সৌন্দর্য বাড়াতে গিয়ে না বুঝেই শরীরের ক্ষতি করছেন না তো? আসুন, তাহলে শুনে নেওয়া যাক।
সিনেমায় কিংবা বিজ্ঞাপনে প্রায়শই দেখা দেন বিকিনিসুন্দরীরা। অধিকাংশ শরীরটাই উন্মুক্ত, অথচ সেখানে রোমের ছিটেফোঁটাও নেই। উজ্জ্বল ত্বক এতই মসৃণ, যেন আলো ছিটকে যাবে। এমনই নির্লোম শরীর পেতে চান অনেক মহিলাই। এমনিতে প্রাকৃতিক ভাবে মানুষের গায়ে রোম থাকে। বিজ্ঞান বলে, দেহের উত্তাপ নিয়ন্ত্রণ এবং ত্বককে বাইরের উত্তাপ থেকে বাঁচাতে রোমের কার্যকরী ভূমিকাও রয়েছে। কিন্তু সৌন্দর্যের সংজ্ঞা তার উলটো পথে চলে। তার মতে, সুন্দর হওয়ার জন্য শরীরে, বিশেষ করে মেয়েদের শরীরে রোম থাকা চলবে না। আর তাই মেয়েদের প্রসাধনী দ্রব্যেও রোম তুলে ফেলার জন্য একাধিক জিনিসের আমদানি ঘটেছে। এমনকি বিনোদন জগতের পুরুষদের দেখলে বোঝা যায়, সেখানেও রোমের আধিক্য মোটেই জায়গা পায় না। কিন্তু সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যেভাবে রোম তুলে ফেলা হয়, তা কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, এর বিভিন্নরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।
আরও শুনুন: মূত্রত্যাগের পর টিস্যু পেপার দিয়ে যোনি পরিষ্কার! এই সমস্যার কথাও মাথায় রাখুন
যাতে ভালভাবে রোম তুলে ফেলা যায়, তাই অনেকেই হাঁটেন ওয়াক্সিং-এর পথে। কিন্তু রোম তুলে ফেলার পর ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায় অনেকটাই। দীর্ঘ দিন ধরে ক্রমাগত ওয়াক্সিং করালে ত্বকের ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে সহজেই ত্বকের ওপর বলিরেখা দেখা দেয়, ত্বক কুঁচকে যায়। আমাদের ত্বক অনেকটা ইলাস্টিকের মত হয়, টানলে প্রসারিত হয় এবং ছেড়ে দিলে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে আসে। ওয়াক্সিংয়ে ক্রমাগত এই বিষয়টাই দেখা দেয়। যার ফলে ত্বক কুঁচকে যেতে শুরু করে।
ওয়াক্সিং করানোর পরই অনেকের ত্বকের ওপর লালচে ভাব দেখা যায়। জ্বালা কিংবা ব্যথাও অনুভব করেন অনেকে। এমনকি দীর্ঘ দিন ধরে ওয়াক্সিং করানোর ফলে ত্বকে পিগমেনটেশনের সমস্যা দেখা দেয়। যেহেতু ত্বকের ওপর টান পড়ে তাই ত্বকের রঙও পরিবর্তন হয়ে যায়। বিশেষ করে অনেকেরই বাহুমূল ত্বকের অন্যান্য অংশের তুলনায় কালো হয়ে যায়। এ ছাড়া ‘ইনগ্রোন হেয়ার’ বা ত্বকের ভিতর রোম গজিয়ে ওঠার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় অনেককেই।
আরও শুনুন: যৌনতার মৌতাতে বিক্ষত হতে পারে যোনি! ভয় না পেয়ে এই সমস্যা রুখবেন কী উপায়ে?
ওয়াক্সিং না করে অনেকে শেভিং-এর দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানে ‘ইনগ্রোন হেয়ার’-এর সমস্যা আরও বেশি। তা ছাড়া অনেকসময় অসাবধানে রেজর চালালে কোনও জায়গা কেটে যেতে পারে। ওয়াক্সিং বা শেভিং, যে পদ্ধতিতেই রোম তোলা হোক না কেন, ভালভাবে না করতে পারলে সংক্রমণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ত্বক মসৃণ রাখতে অনেকেই ঘন ঘন ওয়াক্সিং করান। কিন্তু ওয়াক্সিংয়ের ক্ষেত্রে অন্তত পক্ষে ৪ সপ্তাহের ব্যবধান রাখা জরুরি, এমনটাই বলেন বিশেষজ্ঞরা।