শীত মানেই উৎসবের মরশুম, আর উৎসব মানেই নিয়ম না মেনে খাওয়াদাওয়া। কিকন্তু সেই বেলাগাম খাওয়ার চোটে যোনির ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে কি না, জানেন? আসুন, বরং শুনেই নেওয়া যাক।
খাবারের দৌলতে ক্ষতি হতে পারে যোনির? এমনটাও কি সত্যি? হ্যাঁ, কোনও কোনও খাবার খেলে তার প্রভাব পড়তে পারে গোপনাঙ্গেও, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর উৎসবের মরশুমে যখন খাওয়াদাওয়ার হিসেব রাখতে ইচ্ছে হয় না, তখনই বাড়তে পারে সমস্যাও। এমনিতে বেশি খাওয়া বা ভুলভাল খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের ক্ষতি নিয়ে আমরা সতর্ক থাকি। কিন্তু কোনও কোনও খাবারের প্রভাবে যে যোনির ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে অজান্তেই, সে কথাটি আমাদের অজানাই থেকে যায়। তাই আগেভাগেই সে কথা শুনে রাখা যাক বরং।
আরও শুনুন: উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য লুকিয়ে উদ্দাম যৌনতায়… কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?
বিভিন্নভাবেই যৌন স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে লোভনীয় শৌখিন খাবার। গবেষণা জানাচ্ছে, কোনও কোনও খাবারের দরুন ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস-এর সম্ভাবনা বাড়ে। সোজা কথায়, যোনিতে থাকা ব্যাকটেরিয়ার প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। এর ফলে যোনিতে আঁশটে গন্ধ, সাদা অথবা সবজে রঙের ডিসচার্জ দেখা যায়। কখনও কখনও চুলকানি কিংবা জ্বালা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। যোনিতে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ অবশ্য এমনিতেই মহিলাদের ক্ষেত্রে চেনা সমস্যা। অপরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে কোনও না কোনও রোগের কারণেও তা হতে পারে। কিন্তু খাবারের দৌলতেও এই সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়, এমনটাই জানাচ্ছে গবেষণা। প্রক্রিয়াজাত খাবার ও চিনি মারাত্মকভাবেই এই অসুখের আশঙ্কা বাড়ায়। বেশি ফ্যাটজাতীয় খাবার থেকেও সমস্যা হতে পারে। এখনকার দিনে এমনিতেই ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবারের ছড়াছড়ি। উৎসবের মরশুমে সেসব খাবার আরও বেশি করেই খাওয়া হয়। চিপস, ডিপ, মিটবল, এগ রোলের মতো অ্যাপেটাইজার থেকে শুরু করে ম্যাশড পট্যাটো, ম্যাকারনি অ্যান্ড চিজ, সুইট পট্যাটো পাই-এর মতো বেশি ফ্যাট থাকা সাইড ডিশ, অথবা কুকি, কেক, পাই, টার্টের মতো শেষপাতের মিষ্টি ডেসার্ট- এই সব খাবারেই কিন্তু যোনির ওই সংক্রমণের ভয় রয়েছে। আবার বিভিন্ন সফট ড্রিংক, প্রসেসড ফ্রুট জুস, ক্র্যানবেরি সসের মতো বেশি মিষ্টি সস যেমন ক্ষতিকর, তেমনই ধূমপানও যোনির ক্ষতি করে। নিয়মিত ধূমপান করলে যোনি অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে।
আরও শুনুন: যৌনতায় স্ট্রেস কমে, অথচ সঙ্গমের আগেই উলটে বাড়ছে উদ্বেগ? নেপথ্যে কী কারণ?
তাহলে কী দাঁড়াল? উৎসবে আনন্দ তো থাকবেই, থাকবে ভালোমন্দ খাওয়াদাওয়াও। তবে একটু মেপে পা ফেলাই ভালো। স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে লো-ফ্যাট খাবার, ক্রিমের জায়গায় ইয়োগার্ট ব্যবহার, চিনি আর ঠান্ডা পানীয়ে রাশ টানা, এমন কিছু নিয়ম তো মেনে চলাই যায়। উৎসবের আনন্দ চেটেপুটে নেওয়ার জন্য শরীর ভালো রাখাও তো সমান জরুরি, তাই নয় কি?