চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে চুল ছেঁড়ার দশা? কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না, চুলের যত্ন নেবেন কেমন করে? রইল কয়েকটি ঘরোয়া উপাদানের হদিশ, যা দিয়ে সহজেই চুলের হালহকিকত বদলে ফেলতে পারেন আপনি।
কেশসজ্জা যদি মনের মতো না হয়, তবে সাজই মাটি। কিন্তু চুল নিয়েই চুলোচুলি বেধে যাওয়ার জোগাড়। ব্যস্ত জীবনের মধ্যে হয়তো চুলের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। কিন্তু চুল তো সে কথা শুনবে না। একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই চুল পড়ার সমস্যা শুরু। অনেক সময় দোষ পড়ে জলের উপরে। আবার বেশি হাওয়া লাগলেও চুল হয়ে উঠে শুকনো, উশকোখুশকো। আবার কখনও ঠিকঠাক প্রসাধনী সামগ্রী বেছে নিতে না পারলেও চুল পড়তে থাকে। এসব তো রয়েছেই, এর মধ্যেই শীতের আসার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর সবাই জানেন, বর্ষা আর শীতকাল চুলের জন্য মোটেই ভাল সময় নয়। যতই ফ্যাশনের টুপি, মাফলার, স্টোল জড়ান, পশম- রেশম- রেয়নের ঘর্ষণে চুলের যা হাল হয়, সে আর কহতব্য নয়। তাহলে শীত আসার আগে থেকেই চুলের যত্নে মন দেওয়া যাক, নাকি?
আরও শুনুন: সঙ্গমেও সাম্যের ডাক… এবার ইউনিসেক্স কন্ডোম বানালেন চিকিৎসক
বাজারচলতি চুলের প্রসাধনী তো ব্যবহার করেনই। কিন্তু জানেন কি, আপনার হেঁশেল থেকেই এমন সব জিনিসের হদিশ মিলবে, যা আপনাকে করে তুলতে পারে কেশবতী কন্যে?
যেমন ধরুন, ডিম। ঘরে থাকবেই। চুলের যত্ন নিতে এর মতো কাজের জিনিস কিন্তু কমই আছে। গন্ধের কারণে অনেকে চুলে ডিম মাখা এড়িয়ে যান বটে, কিন্তু ডিম মাখলে গোছ যেমন বাড়ে, তেমন নরমও হয় চুল। এমনই আরেকটি কাজের জিনিস হল টক দই। চুলকে পুষ্টি জোগায়। আবার অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ থাকার কারণে টক দই ব্যবহার করলে স্কাল্পে কোনোরকম ইনফেকশন হওয়া থেকেও রেহাই মেলে। অনেক সময়ই ইনফেকশনের জন্যই চুল পড়ার সমস্যা শুরু হয়। টক দই হারিয়ে দেয় সেই সম্ভাবনাকেই।
আরও শুনুন: শীতের সঙ্গেই আসে সর্দিকাশির সমস্যা, সাবধান হবেন কীভাবে?
শীতকাল এলে অনেক বাড়িতেই জারক আমলকি বানানোর হিড়িক পড়ে। আমলকি কিন্তু চুলের যত্ন নিতেও উপকারে আসতে পারে। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। এর প্রভাবে চুলের গোছ বাড়ে। আবার চুল লম্বাও হয় তাড়াতাড়ি। পুষ্টিবিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, নিয়মিত আমলকি খেলে বা চুলে লাগালে বছরে ছ’ইঞ্চি করে বাড়বে চুল।
চুলের যত্ন নিন ঘরোয়া উপায়ে। পাশাপাশি পরিমাণমতো জল এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলুন। যথাযথ খাদ্যাভ্যাস কিন্তু আপনার চুল পড়ার সমস্যা অনেকখানিই কমিয়ে দিতে পারে।