আমার আপনার আশেপাশে অনেকের চোখই এখন লাল। রাগে নয়, রোগে। হ্যাঁ, চারদিকে এখন কনজাংটিভাইটিস-এর বাড়বাড়ন্ত। আর তার সঙ্গেই বাড়ছে ভয়। ছোঁয়াচে রোগ বলে কথা! কারও চোখে কনজাংটিভাইটিস মানেই তার দিকে তাকালে আর নিস্তার নেই, এমনটাই তো মনে করি আমরা। তাহলে এই পরিস্থিতিতে নিজেকে বাঁচানোর উপায় কী? শুনে নিন।
আবার এসেছে আষাঢ়। আর সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে ‘আই ফ্লু’, যাকে আমরা চিনি কনজাংটিভাইটিস বা জয়বাংলা বলে। চোখ লাল, জল পড়া, ফুলে যাওয়া, ব্যথা- এই সমস্যায় জেরবার হচ্ছেন অনেকেই। আর যাদের রোগ হয়নি, তাঁরা পাচ্ছেন ভয়। আশেপাশে কারও চোখে কনজাংটিভাইটিস হলেই আমরা ধরে নিই, যেহেতু এই অসুখ ছোঁয়াচে, তাই তার দিকে তাকালেই আমাদেরও তা হবে। তাহল এই অবস্থায় আত্মরক্ষা করবেন কী করে?
আরও শুনুন: বর্ষার সময়ও ঋতুকালে ব্যবহার করেন স্যানিটারি ন্যাপকিন! হতে পারে অন্য বিপদ
কনজাংটিভাইটিস ভাইরাল রোগ, তাই একে আটকানোর তেমন কোনও উপায় নেই। এই রোগ না হওয়ার কোনও ওষুধ কিংবা ভ্যাকসিন নেই। তাই সাবধানতাই একমাত্র পথ। কী করে এই রোগ হয়, তা জানলেই খানিক সাবধানে থাকা যেতে পারে। এ অসুখ ছোঁয়াচে ঠিকই, তবে কারও দিকে তাকালেই কনজাংটিভাইটিস হবে না মোটেও। যদি কেউ রোগীর চোখের কোনওরকম সংস্পর্শে আসেন, তবেই এই রোগ থাবা বসাবে আপনার চোখে। যেমন ধরুন, রোগী নিজের চোখে হাত দিয়ে তারপর হয়তো কিছু একটা ধরলেন, সে জিনিস তারপর আপনিও ধরলেন, আর সে হাত চলে গেল চোখে। তাই বাড়িতে কারও কনজাংটিভাইটিস হলে, তাঁর ব্যবহার করা কোনও জিনিসপত্র না ছোঁয়াই বাঞ্ছনীয়। বিশেষ করে রোগীর তোয়ালে, রুমাল, বিছানার চাদর ব্যবহার করবেন না। সোজা কথায়, রোগীর সংস্পর্শে এলে হাত ভাল করে ধুয়ে তারপরে অন্য কিছুতে হাত দেবেন। বর্ষাকালে যেহেতু এই রোগের হার বাড়ে, তাই বাইরে থেকে ফিরেই আগে হাত-মুখ সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। বিশেষ করে চোখে অস্বস্তি হলেও হাত না ধুয়ে চোখ স্পর্শ করা যাবে না। আর চোখের নীচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা বা খচখচ করা, জল পড়া, চোখ জ্বালা করা ও চুলকানি- এমন এক বা একাধিক লক্ষণ দেখা গেলেই অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাই এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়।