চট করেই ঠান্ডা লেগে যায় এই মরশুমে। আর এই কোভিডের যুগে সামান্য সর্দি কাশিতেও ঘাবড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। সেইজন্যই রইল কিছু সাধারণ উপায়, যেভাবে সাবধানে থাকা যায় এই ঋতুবদলের সময়ে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, লক্ষ্মীপুজোর পরপরই রাজ্যে আসতে চলেছে শীত। না, জাঁকিয়ে শীত কবে পড়বে সে কথা বলা যাচ্ছে না এখনই। তবে হাওয়ায় হালকা ঠান্ডার আমেজ কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে। আর এই সময়টাই ভারী গোলমেলে। এই গরম, এই ঠান্ডা, মাঝে আবার বৃষ্টিরও দেখা মিলছে। এমনিতেই ঋতু পরিবর্তনের সময় এলেই অনেকে চিন্তায় পড়েন, কখন সর্দি কাশির উৎপাত দেখা দেয় ভেবে। বিশেষ করে যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, একটুতেই ঠান্ডা লেগে যেতে পারে তাঁদের। আর করোনা কালে সর্দি কাশিকে সামান্য বলে উড়িয়ে দেওয়ার উপায়ও নেই। কী করবেন তাহলে?
আরও শুনুন: সমালোচনা শুনলেই ঘিরে ধরছে হতাশা, ‘নেগেটিভিটি বায়াস’-এর লক্ষণ নয় তো?
কথায় বলে, রোগ হওয়ার আগেই সারানো ভালো। শীতের মরশুমে সর্দি কাশি হওয়ার আগেই নিজে কিছু কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন। কদিন আগেও যেমন ফ্রিজ থেকে বের করেই চট করে গলায় ঢেলে দিতেন ঠান্ডা জল বা কোল্ড ড্রিংক, তেমনটা না করাই ভাল। শীত হোক বা গরম, জমাট বাঁধা আইসক্রিম বা ফ্রোজেন ডেসার্ট অনেকখানি খেয়ে ফেললে অনেকেরই গলা বসে যায় সঙ্গে সঙ্গে। সে দিকেও সাবধান হোন। যাদের ঠান্ডার ধাত, তারা এই সময় শৌখিন স্টোল বা মাফলার ব্যবহার করতে পারেন। গায়েও চাপিয়ে নিতে পারেন কাজ করা জ্যাকেট, কিংবা শ্রাগ। এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো একইসঙ্গে সামলে নেওয়া যাবে ফ্যাশন আর শরীরের যত্নকে।
সর্দি কাশি হলে গরম জলের ভাপ নিতে পারেন। বিশেষত ঠান্ডা লাগলে যাঁদের অল্পস্বল্প শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়, তাঁরা ভেপার নিলে কাজে দেবে। আর গলা ব্যথার ক্ষেত্রে গার্গলের বিকল্প নেই। তবে এসবের পাশাপাশি মেনে চলতে পারেন কিছু ঘরোয়া টোটকাও। কীরকম?
সর্দি কাশি, সামান্য জ্বরে অনেকেই ভরসা রাখেন বাড়িতে বানানো কাড়া-র উপর। আর অতিমারির সময় থেকে এর চল বেড়েছে আরোই। গরম জলে গোটা লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, গোলমরিচ ফুটিয়ে নিন। দিতে পারেন আদার রসও। ছেঁকে নেওয়া জলটা চায়ের মতো খেলে উপকার মিলবে।
আরও শুনুন: পুজোয় বেড়িয়ে বেচাল শরীর! সুস্থ থাকতে এই কাজগুলো অবশ্যই করুন
সর্দি হলে দুধে হলুদ মিশিয়ে খান অনেকেই। হলুদের অ্যান্টি-ব্যাক্টিরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ রয়েছে। সুতরাং শরীরের পক্ষে এটি যে উপকারী, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ঘরোয়া টোটকা হিসেবে অনেকে ‘বেসন কা শিরা’-র কথাও বলেন। দুধের মধ্যে বেসন, ঘি, হলুদ, আদা, গোলমরিচ দিয়ে তৈরি হয় এই মিশ্রণ। কাপড়ের মধ্যে কালোজিরে নিয়ে পুঁটলি বানিয়ে মাঝে মাঝে ঘ্রাণ নিতে পারেন। সর্দির পক্ষে উপকারী।
পুজোর মরশুম কাটেনি এখনও। তার মধ্যে যাতে অসুখবিসুখের চক্করে না পড়তে হয়, সামান্য সাবধানতা অবলম্বন করতে ক্ষতি কোথায়!