বাস্তবে এমনটা ভাবতেও পারেন না অনেকেই। কিন্তু পর্ন ভিডিওতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠতে দেখা যায় অভিনেতাদের। না আছে ক্লান্তি, না শিথিল হচ্ছে পুরুষাঙ্গ! অজানা কোনও ম্যাজিকে সঙ্গিনীকে দীর্ঘক্ষণ তৃপ্ত করে চলেছেন তিনি। তবে সম্প্রতি সেই রহস্যের কথাই ফাঁস করেছেন এক পর্ন তারকা।
তাঁর সাফ দাবি, পর্দার যৌনতা দেখে যত সহজ মনে হোক না কেন, বাস্তবে তা একেবারেই অন্যরকম। ভিডিওতে খুব বেশি হলে এক ঘণ্টা যৌনতায় লিপ্ত হতে দেখা যায় পুরুষ অভিনেতাকে। কিন্তু তা শ্যুট করার জন্য পরিশ্রম করতে হয় কয়েক ঘণ্টার। তাহলে যেসব ভিডিওতে ম্যারাথন যৌনতার দেখা মেলে, সেসব তৈরি করতে ঠিক কত সময় লাগতে পারে তা বলাই বাহুল্য। অথচ এই দীর্ঘক্ষণ এতটুকু ক্লান্তি ছাপ ফুটে ওঠে না তাঁদের চোখে মুখে। যৌনতার আনন্দে মেতে উঠে সঙ্গিনীকে তৃপ্ত করাই যেন একমাত্র লক্ষ্য। কিন্তু আসলে এর সবটাই অভিনয়। বাস্তবে একজন সাধারণ মানুষের মতোই ক্লান্ত হন তাঁরাও। তবে ঢেকে রাখতে হয় ক্যামেরার সামনে। একইসঙ্গে সময়মতো যৌনাঙ্গ প্রদর্শন, লিঙ্গের আকার স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি করা ইত্যাদি বিভিন্ন কাজ করতে হয় তাঁদের। বলাই বাহুল্য, এইসব কাজ প্রাকৃতিক ভাবে সম্ভব নয়। হলেও তা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই অধিকাংশ পুরুষ পর্নতারকাই বিভিন্ন উপায় নিজেদের যৌনাঙ্গের দৃঢ়তা বজায় রাখার চেষ্টা করেন। প্রথমেই বলতে হয় ওষুধের কথা। বিভিন্ন যৌন উদ্দীপক বড়ি খেয়েই এমনটা করে থাকেন তাঁরা। প্রয়োজনে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধও খেতে হয়। কিন্তু কাজের স্বার্থে এমনটা করতেই হয়। যা ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যে কাজের জন্য ওষুধ খাওয়া, অর্থাৎ পুরুষাঙ্গ টানটান রাখার চেষ্টা, মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ খেলে সে ক্ষমতা চিরকালের মতো হারিয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে বিভিন্ন যৌন রোগও দেখা দিতে পারে।
তবে স্রেফ ওষুধ নয়। পর্ন ভিডিও শ্যুটের জন্য কঠোর অনুশীলনের মধ্যে দিন কাটান পর্নতারকারা। নিয়মিত অভ্যাস রাখতে হয় ব্যায়ামের। কারণ ক্যামেরার সামনে নির্মেদ শরীর দেখানো আবশ্যক। সেইসঙ্গে ব্যায়ামের জন্য শরীরে রক্তসঞ্চালনও সঠিক থাকে। যৌন সঙ্গমের ক্ষেত্রে যা ভীষণ জরুরী। সেইসঙ্গে প্রয়োজন সঠিক ডায়েটের। তবে সাধারণ কোনও ডায়েট নয়, মূলত আমিষ খাবারের পরিমাণ বেশি রাখতে হয় এক্ষেত্রে। প্রোটিনের পরিমাণ বাড়লে যৌনক্ষমতাও বাড়ে। তাই এই নিয়ম মেনেই পর্ন ভিডিওতে বাজিমাত করেন পুরুষ তারকারা।