ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। হুহু করে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। করোনার এই তৃতীয় ঢেউয়ে দেখা যাচ্ছে, গলা ব্যথায় কাবু অনেকেই। আর গলা ব্যথা মানেই খাবার খেতেও কষ্ট। এদিকে যথাযথ পুষ্টি না পেলে দুর্বলতা জাঁকিয়ে বসবে আরও। তাহলে কী উপায়ে মোকাবিলা করা যেতে পারে এই সমস্যার? আসুন, শুনে নেওয়া যাক কিছু উপায়।
সবরকম বিধিনিষেধ সত্ত্বেও আক্রমণ জারি রেখেছে করোনা। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এবারের সংক্রমণে সবসময় হাসপাতালে ভরতি হওয়ার প্রয়োজন নেই। নিয়ম মেনে হোম আইসোলেশনে থেকেও রোগের মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে, এমনটাই জানাচ্ছে পরিসংখ্যানও। তবে তাৎক্ষণিক পরিষেবার প্রয়োজন না পড়লেও, শারীরিক দুর্বলতা এবং কিছু কিছু উপসর্গ অনেককেই ভোগাচ্ছে কমবেশি। তার মধ্যে অন্যতম হয়ে দাঁড়িয়েছে গলা ব্যথা।
আরও শুনুন: নিভৃতবাসের মেয়াদ ফুরোবার পরেও রিপোর্ট পজিটিভ! এক্ষেত্রে কী করণীয়?
মুশকিল হল, গলা ব্যথা এবং ঢোক গিলতে অসুবিধা হলে তার প্রভাব পড়ে খাওয়াদাওয়াতেও। গিলতে কষ্ট হয় বলে খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। আবার জোর করে খেলে বমি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। অনেকেই এই সময় বাধ্য হয়ে তরল জাতীয় খাবারেই ভরসা রাখেন। কিন্তু যে কোনও রোগের ক্ষেত্রেই, ওষুধের মতো, পথ্যও অত্যন্ত জরুরি। যথাযথ পুষ্টিকর খাদ্য না পেলে শরীর দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারে না। আর যেহেতু করোনার ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দুর্বলতা, ফলে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে পরিমাণমতো খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। তাই খাবারের দিক থেকে মুখ না ফিরিয়ে, বরং দেখে নেওয়া যাক, গলা ব্যথা কাটিয়ে ওঠা যায় কীভাবে।
প্রথমত, গলা ব্যথা থাকলে ঈষদুষ্ণ জলে গার্গল করুন বারবার। চিকিৎসকের কাছ থেকে সঠিক গার্গল সলিউশনের নাম জেনে নিন। ঠিকমতো গার্গল করলে ব্যথা কমবে তাড়াতাড়ি।
আরও শুনুন: ওমিক্রন আবহে সর্দি-কাশি ভয়ের বিষয় নাকি শাপে বর! বিশেষজ্ঞরা বলছেন…
দ্বিতীয়ত, গলা ব্যথায় আরাম দেয় গরম তরলজাতীয় পদার্থ। গরম দুধ, কফি, ভেষজ চা তো আছেই। পানীয় জলও সামান্য গরম করে খেতে পারেন এই সময়। এ ছাড়া বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন কাড়া। গরম জলে আদার রস, গোলমরিচ, লবঙ্গ, দারচিনি দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে তৈরি সামান্য ঝাঁঝালো এই পানীয়টি সর্দিকাশি গলা ব্যথার ক্ষেত্রে দারুণ উপকারী। চায়ের মধ্যেও মিশিয়ে নিতে পারেন আদার রস, অথবা তুলসী মধু। বারে বারে কোনও পানীয় খেতে না চাইলে আদার ছোট ছোট টুকরো চিবিয়ে নিতে পারেন। গলা ব্যথায় উপকার মিলবে, আবার বমি ভাবও কেটে যাবে।
এই সময় একবারে বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। বরং বারে বারে খান। এড়িয়ে চলুন খুব শক্ত খাবার, বেশি তেল-ঝাল-মশলা দেওয়া খাবারও। জোরে জোরে কথা বলার ফলে যাতে গলায় চাপ না পড়ে, খেয়াল রাখুন সেদিকেও। একটু সতর্ক থাকলেই দেখবেন, সমস্যা কেটে যাবে অচিরেই।