ঘুম কম হওয়ার কোনও সমস্যা নেই। অথচ তারপরেও কাজের মাঝে মাঝে হাই উঠছে। কী করবেন এমন হলে? শুনে নিন।
মহাভারতের মহাযুদ্ধে বিভিন্নরকম অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে একটা অস্ত্রের নাম শোনা যায়। জৃম্ভণাস্ত্র। অর্থাৎ কিনা এই অস্ত্র ছুঁড়লে সৈন্যরা ক্রমাগত হাই তুলতে তুলতে কাবু হয়ে পড়ে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, হাই জিনিসটা মোটেই খুব একটা ভাল নয়। আর সে কথা শরীর আমাদের মাঝে মাঝেই বুঝিয়ে দেয়। দেখা যায়, দিব্যি এক ঘুম দিয়ে সকালে উঠেছেন, অথচ তারপরেও কিনা বারবার হাই উঠছে! এদিকে দিন শুরু মানেই তো লম্বা কাজের ফিরিস্তি। সে ঘরের কাজ হোক কি বাইরের, হাই তোলা মানেই সে কাজে সাময়িক ছেদ পড়ে। আর বারবার বিশ্বরূপ দর্শন করানোর মতো এত বড় হাঁ করতেই বা কার ভাল লাগে! তা ছাড়া, ক্লাসে বসে কিংবা বসের মিটিংয়ে যদি ভুল করেও একবার হাই তুলে ফেলেন, তাতে আপনার সম্বন্ধে কর্তৃপক্ষের মনোভাব যে কী দাঁড়াবে সে তো বলাই বাহুল্য। সুতরাং, ভেবে দেখা যাক এই বিপত্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনও উপায় খুঁজে পাওয়া যায় কি না।
আরও শুনুন: কাপড় থেকে লিপস্টিকের জেদি দাগ তুলবেন কীভাবে? মাথায় রাখুন এই উপায়গুলি
শরীরে অক্সিজেনের অভাব হলে হাই ওঠে, বিজ্ঞানসম্মতভাবেই এ কথা জানি আমরা। ঘন ঘন হাই উঠলে নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে শ্বাস ছেড়ে দেখতে পারেন। সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে।
দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলেও একটা আলস্য বা একঘেয়েমি গ্রাস করতে পারে। তখন হাই ওঠা বেড়ে যায়। একটানা বসে না থেকে মাঝেমধ্যে একটু হেঁটে নিলে আলস্য ভাব বা হাই ওঠা, দুই-ই কমবে।
সুযোগ থাকলে আরেকটি কাজ করতে পারেন। একটি তোয়ালে ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে কপালে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এইভাবে ‘কোল্ড কমপ্রেস’ করলে হাই ওঠার প্রবণতা কমে।
আসলে সামগ্রিকভাবে ঠান্ডার সঙ্গেই হাই তোলার একটা শত্রুতা আছে। ঠান্ডা জল বা ঠান্ডা পানীয় খেলে ঘন ঘন হাই ওঠে না। সোডা ওয়াটার বা কোল্ড ড্রিংক্স খেতেই পারেন, তবে সবসময় হাতের কাছে সেসব নাই থাকতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় খাওয়াও তো স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। সেক্ষেত্রে জলের মধ্যে বরফকুচি ফেলে হালকা করে চুমুক দিয়ে খেতে পারেন, হাই তোলা কমে যাবে। খেতে পারেন আইসক্রিমও। কিংবা ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা শসা বা তরমুজ। ঠান্ডা খাবার খেলে হাই তোলার প্রবণতা কমে।
আরও শুনুন: নাসিকাগর্জনে অন্যেরা তিতিবিরক্ত, অথচ শব্দ যায় না ঘুমন্তের কানে… কেন জানেন?
তবে এসবই হল সাময়িক সমাধান। শরীর এবং মনের যত্ন নিন, যাতে কোনও দিক থেকেই সহজে ক্লান্তি গ্রাস করতে না পারে। আর তাহলেই দেখবেন, যে কোনও সময় ঘন ঘন হাই তোলার প্রবণতাও গায়েব!