অতিমারীর দু-দুটো ঢেউ সামলে এমনিতেই নাজেহাল মানুষ। সবে স্বস্তি ফিরেছে কি ফেরেনি, এর মধ্যেই মাথার উপরে খাঁড়ার মতো ঝুলছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। ইতিমধ্যেই সেটিকে বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্টের খেতাব দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মাস্ক, স্যানিটাইজার তো রাখবেনই, এ ছাড়া আর কী করলে এড়াবে সংক্রমণের ঝুঁকি? অনাক্রম্যতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে চাঙ্গা রাখবেন কী করে? শুনে নিন তারই হাল-হদিশ।
চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন। কোভিড-১৯-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজের খেলা দেখাতে শুরু করেছে সেটি। দেখতে দেখতে এসে পৌঁছেছে ভারতেও। বৃহস্পতিবারই কর্নাটকে দুজন আক্রান্তের শরীরে মিলেছে ওমিক্রনের নমুনা। এখনও পর্যন্ত মোট ৩০ বার নিজের স্পাইক প্রোটিনে মিউটেশন ঘটিয়ে ফেলেছে ওমিক্রন। ফলে এর ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আগের কোভিড ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় কয়েক গুণ বেশি বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও শুনুন: কোন ব্লাড গ্রুপের মানুষদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি?
আপাতত পরিত্রাণের জন্য সাবধানতা অবলম্বন করা ছাড়া উপায় নেই। মাস্ক পরা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজার ব্যবহার, এসব তো গত দুটো ঢেউ আমাদের ভালই শিখিয়ে দিয়ে গিয়েছে। তবে তৃতীয় ঢেউ আসার আগে আমাদের দুর্গ তৈরি রাখাই ভাল। আর সেখানে সেনা হয়ে লড়বে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একদিনে বা এক সপ্তাহেই বাড়িয়ে ফেলা যায়, এমনটা কিন্তু নয়। এটা একটা দীর্ঘ পথ। ফলে কোমর বাঁধতে হবে গোড়া থেকেই। করোনার আগে এবং পরে, খাবার-দাবারে জোর দেওয়া কিন্তু ভীষণ জরুরি। সেখান থেকেই পুষ্টি পাবে শরীর। বাড়বে অনাক্রম্যতা। আর এই দীর্ঘ অতিমারী পর্ব তো আমাদের শিখিয়েই দিয়েছে, বাইরে থেকে কোনও সাপ্লিমেন্ট দিয়েই রোগ নির্মূল কিংবা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তাই ভিতর থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ানো প্রয়োজন।
আরও শুনুন: করোনাই খুলল ভাগ্যের দরজা, টিকা নিয়ে রাতারাতি কোটিপতি মহিলা
কী করলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আসুন, শুনে নিই।
জল খান প্রচুর পরিমাণে। শরীরে জলের ভূমিকা কিন্তু অনেকটাই। যার প্রভাব পড়ে আমাদের ইমিউন সিস্টেমেও। শরীরের ভিতরে থাকে লসিকা, যা সংক্রমণের সঙ্গে লড়তে থাকা কোষগুলিকে সারা দেহে ছড়িয়ে দেয়। আর এই তরলটির বেশির ভাগ অংশ তৈরি হয় জল দিয়েই। শরীর জলশূন্য হয়ে গেলে অনাক্রম্যতা শক্তিও কমে যায়।
বাকি অংশ শুনে নিন।