কাশি কিংবা সর্দিজ্বর হলেই গলায় ঢালেন সিরাপ। কিন্তু কতদিন ধরে সেই ওষুধটি মজুত করে রাখেন বাড়িতে? দিনের পর দিন একই শিশি থেকে ওষুধ খেয়ে নিজের অজান্তেই কি বাড়িয়ে ফেলছেন কোনও ঝুঁকি? আসুন, জেনে নেওয়া যাক।
দুয়ারে হাজির শীতকাল। একইসঙ্গে ব্যাগ গুছিয়ে চলে এসেছে সর্দি-কাশি-জ্বর! চিন্তার কারণ অবশ্য নেই, আগে থেকে বাড়িতে মজুত করে রাখা আছে সিরাপ। একটা নয়, প্রায় খালি হয়ে আসা বেশ কয়েকটা বোতল। নিদেনপক্ষে শীতের প্রথম সপ্তাহটা কেটে যাবে অনায়াসে। কিন্তু এতদিনের জমিয়ে রাখা সিরাপ খাওয়া আদৌ উচিত?
সেসবের তোয়াক্কা করেন না অনেকেই। সামান্য ঠান্ডা লাগা সারাতে আবার ডাক্তারখানায় কে ছুটবে! তার চেয়ে ভালো বাড়িতে পড়ে থাকা সিরাপ গলায় ঢালা। কাশি গায়েব করতে সিরাপের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না! তাই সিরাপ নয়, সমস্যাটা পুরনো সিরাপ নিয়ে। যা সাধ করে জমিয়ে রাখেন অনেকে। দাম দিয়ে কেনা জিনিস ফেলতে গায়ে লাগে, এই যুক্তিও অকাট্য। কিন্তু সামান্য টাকা বাঁচাতে গিয়ে বড় কোনও রোগ যে হবে না এমন গ্যারান্টি নেই। ঠিক কী সমস্যা হতে পারে?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একবার খুলে ফেলার পর কাশির সিরাপের বোতলের মুখে জন্মাতে পারে জীবাণু। দানা বাঁধে ব্যাকটেরিয়া। তাই কখনই মাসের পর মাস ধরে ফেলে রাখা উচিত নয় কাশির সিরাপ। এই ধরনের ওষুধগুলি খাওয়ার ফলে শরীরে জন্মাতে পারে নানান ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগব্যাধি। পেটে হতে পারে হজমের গোলযোগ। শুধু তাই নয়, নিঃশব্দে বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি। ওষুধ এনে সবসময় খেয়াল করতে হবে ওষুধটি যেখানে রাখা হচ্ছে তার তাপমাত্রা। অতিরিক্ত বেশি তাপমাত্রা হলে অনিবার্য ঘাটতি হবে ওষুধের ক্রিয়ায়। আর এর পাশাপাশি সতর্কভাবে নজর দিতে হবে ওষুধের গায়ে লেখা মেয়াদের দিকে। ওষুধ তৈরির সময়েই সেই নির্দিষ্ট সময়কালের মেয়াদ লেখা থাকে তার গায়ে। তাই ওষুধ যখনই ব্যবহার করা হোক না কেন, ব্যবহার করার শর্ত নির্ভর করছে তার মেয়াদের তারিখের ওপর। তাই, ওষুধ খাওয়ার আগে অথবা কিনে এনে ফেলে রাখার আগে অবশ্যই একবার ভালো করে চোখ বুলিয়ে নিন। নাহলে, তার ফলাফল কিন্তু আখেরে আদৌ সুখকর হবে না।