সেইভাবে জাঁকিয়ে শীত পড়েনি। তবু অনেকেই ঠাণ্ডা জলে স্নানের পাট চুকিয়েছেন। রীতিমতো গরম জলই গায়ে ঢালছেন কেউ কেউ। জানেন কি, এর থেকেই হতে পারে মারাত্মক বিপদ? ঠিক কী সমস্যা হতে পারে শীতকালে গরমজলে স্নান করলে? আসুন শুনে নিই।
ঠাণ্ডা পড়ুক বা নাই পড়ুক, শীতকালে স্নানের নামে গায়ে জ্বর। মেঘলা আবহাওয়া থাকলে তো কথাই নেই। স্নান না করেই সেইদিন দিব্য কাটিয়ে দেবেন কেউ কেউ। আর অন্যান্য দিনে স্নান করলেও তা মোটেও ঠাণ্ডা জলে নয়। শীতের দিনে রীতিমতো গরম জলই গায়ে ঢালার অভ্যেস রয়েছে অনেকের। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন শরীরের জন্য এই অভ্যাস মোটেও ভালো না।
আরও শুনুন: অন্তঃসত্ত্বা না হয়ে যৌনতা উপভোগ! সঙ্গম শেষে মূত্রত্যাগ কি আদৌ কার্যকরী?
হালকা গলা ব্যাথায় চিকিৎসকরা গরম জলে গারগেল করার পরামর্শ দেন। কিংবা কোথাও চোট লাগলেও গরম জলে সেঁক দেওয়া কার্যকর হতে পারে। কিন্তু রোজই স্নানের জন্য গরম জল ব্যবহার করা উচিত নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বদলে সারাবছর যদি ঠাণ্ডা জলেই স্নান করা হয় তাহলে উপকার বই ক্ষতি হয় না। যদিও কনকনে শীতের দিনে ঠাণ্ডা জলের সঙ্গে কিছুটা গরম জল মিশিয়ে তা সাধারণ উষ্ণতার করে নেওয়া যেতেই পারে। তবে সেই জল যেন ভীষণ গরম না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। সম্ভব হলে স্নানের জল বালতি ভরে রোদে রেখে দিন। এতে জল কিছুটা হলেও গরম হবে, আর ওই জলে স্নান করলে কোনও ক্ষতি হবে না। এবার আসা যাক ঠাণ্ডা জলের বিভিন্ন উপকারিতার প্রসঙ্গে।
আরও শুনুন: কমলালেবু আর টম্যাটো দুই-ই খেতে ভালোবাসেন? হিতে হতে পারে বিপরীত
প্রথমেই বলতে হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কথা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত ঠান্ডা জলে স্নান করেন, তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ ভাল। আসলে ঠাণ্ডা জলে স্নান করলে ত্বকে বিশেষ কিছু পরিবর্তন হয়। যা আসলে একটা আস্তরণ তৈরি করে এমনটা বলা যায়। ফলে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরের সম্ভাবনা কমে। মানসিক চাপ কমাতেও ঠাণ্ডা জলের জুড়ি মেলা ভার। যদিও এর কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। অনেকে মনে করেন, ঠাণ্ডা জলে স্নান করলে দুশ্চিন্তা কেটে যায় কিংবা অবসাদ কাটে। তাই নিয়মিত ঠাণ্ডা জলে স্নান করলে শরীর মন দুই-ই ভালো থাকে। এছাড়া শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতেও ঠাণ্ডা জল বেশি কার্যকর হতে পারে। তবে যাদের সমস্যা রয়েছে তারা ঠাণ্ডা জল এড়িয়ে চলতে পারেন। বিশেষত যদি নির্দিষ্টভাবে কাউকে চিকিৎসকই পরামর্শ দিয়ে থাকেন গরম জলে স্নান করার, তাহলে তিনি অবশ্যই তা মেনে চলুন। তবে স্নান না করার অভ্যাস একেবারেই ঠিক নয়। ঠাণ্ডা যতই পড়ুক, গরম জল বা হাল্কা ঠাণ্ডা জলে অবশ্যই স্নান করুন রোজ।