মোটা হওয়ার ভয়ে দূরে সরিয়ে রাখেন। কিন্তু জানেন কি শুধু মন ভাল করতেই নয়, আপনার শরীরের অনেক উৎপাত কমাতেও ওস্তাদ চকোলেট। কীভাবে? জেনে নিন।
উপহার দেওয়ার কথা মাথায় এলেই আগে মনে পড়ে চকোলেটের কথা। বয়স যাই হোক, যে অকেশনই হোক, চোখ বন্ধ করে দেওয়া যায় চকোলেট। হলপ করে বলতে পারি, ‘আমি চকোলেট খাই না,’ এই কথাটা নিতান্ত বেরসিক ছাড়া কেউ বলবে না। আর ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের পুরো একটা দিন তো চকোলেটের উদযাপন।
ঠিক কবে থেকে চকোলেট খাওয়া শুরু হল, সেটা জানতে আমাদের ইতিহাসের পাতা ওল্টাতে হবে। আনুমানিক ১৫০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দে প্রাচীন ওমলেক সভ্যতায় চকোলেট চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে উত্তেজক হিসাবে ব্যবহার করা হতো। মায়ানদের লেখা ইতিহাস থেকেও চকোলেটকে পানীয় হিসাবে ব্যবহারের কথা জানা যায়।
কীভাবে চকোলেট তৈরি হয়, সেকথায় আর না গিয়ে বরং কেন চকোলেট আমাদের খাওয়া প্রয়োজন সেকথায় আসি।
চকোলেটের মধ্যে রয়েছে থ্রিব্রোমাইন ও ফেনিলেথিলামিন, এই দুটি জিনিসের কাজ হল আমাদের মস্তিষ্ককে আনন্দের অনুভূতি দেওয়া। বুঝতেই পারছেন এই অনুভূতি মস্তিষ্ক থেকে সারা শরীরে পৌঁছে যায়। সারা পৃথিবী জুড়ে চকোলেট নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে, আর যে সব তথ্য উঠে আসছে তা বেশ চমকপ্রদ। ওজন কমাতে নাকি চকোলেট সাহায্য করে! মাঝে মাঝে সকালবেলা যদি একটা চকোলেট পেস্ট্রি খান, সেটাই নাকি সারাদিন আপনার ফ্যাট বার্ন করবে। তবে আপনার সুগারের সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একদম হাত বাড়বেন না। আর, এটুকু শুনেই আবার রোজ চকোলেট খেতে শুরু করবেন না।
ভালবাসা আর আবেগের প্রতীক চকোলেট। সে আমাদের হৃদয়ের খেয়াল রাখবে না তা কি হয়! চকোলেট আমাদের শরীরের ক্ষতিকর কোলস্টেরলের মাত্রা কমায়, আর ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। তাতেই সুস্থ থাকে আমাদের হৃদয়। ফিনল্যান্ডের একটা গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁরা মাঝে মাঝে চকোলেট খান, তাঁদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।