ডিম খেলেও হতে পারে ‘সুগার’। বিশেষত ডায়বেটিক রোগিরা যদি রোজ ডিম খান, তাহলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে রক্তে শর্করার পরিমাণ। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে রোজ ঠিক কতগুলো ডিম খাওয়া নিরাপদ? আসুন শুনে নিই।
‘সানডে হো ইয়া মনডে, রোজ খাও আন্ডে’! পুষ্টি সচেতনতায় সরকারি বিজ্ঞাপনের এই লাইন আমাদের অনেকেরই চেনা। কিন্তু সবাই যদি তা মানতে শুরু করেন তাহলে মহা বিপদ। বিশেষত সুগারের রোগীরা যদি রোজ ডিম খেতে শুরু করেন, তাহলে আর রক্ষে নেই।
আরও শুনুন: পুরাণ থেকেই যুদ্ধের অস্ত্র আর কৌশলের শিক্ষা, প্রধানমন্ত্রীর পথেই নয়া প্রকল্প ভারতীয় সেনার
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। ডিম খেলেও রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষকরা। প্রোটিনের উৎস হিসেবে ডিমের জুড়ি মেলা ভার। শরীরচর্চা করলে, রোজ অন্তত ৪-৫ টা ডিম খাওয়ার নিদান দেন অনেকেই। তবে ডায়বেটিক পেসেন্টদের ক্ষেত্রে এমনটা করলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, যারা রোজ প্রতিদিন একাধিক ডিম খান, তাদের ডায়বেটিস হওয়ার সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ। সাধারণত একটা ডিমের ওজনই হয় প্রায় ৫০ গ্রাম। বিশেষজ্ঞদের মতে এর মধ্যে অন্তত ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকছে। যা ডায়বেটিক রোগীদের জন্য মোটেও উপকারী নয়। মাঝেমধ্যে একটা খাওয়া যেতেই পারে, কিন্তু রোজ নৈব নৈব চ। স্বাদের জন্য অনেকেই হয়তো নিয়মিত ডিম খান। তবে সেক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে এই সতর্কতার ব্যাপারাটাও। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে, ৮৫৪৫ জন প্রাপ্তবয়স্কের উপর একটি পরীক্ষা চালিয়েছিলেন গবেষকরা। সেখানেই দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত ডিম খেয়েছেন তাদের মধ্যে ডায়েবেটিসের প্রবণতা অনেকটাই বেশি। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশ এগিয়ে রয়েছে বলেই দাবি গবেষকদের। কারণ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মহিলারা পুরষদের তুলনায় বেশি সংখ্যায় ডেয়েবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সতর্ক থাকতে হবে সকলকেই। তবে সেইসঙ্গে মাথায় রাখতে হবে, এই নিয়ম সকলের জন্য নয়। বিশেষত যারা নিয়মিত শরীর চর্চা করেন তাঁরা প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে অবশ্যই ডিম খেতে পারেন। কিংবা যাঁদের নিয়মিত ডিম খাওয়ার জন্য চিকিৎসকরাই পরামর্শ দিয়েছেন তারাও সেই মতো ডিম খেতেই পারেন। তবে ডায়েবেটিক রোগীদের নির্দিষ্ট ডায়েট মেনেই চলা উচিত। আর সেই ডায়েটে ডিম পরিমাণ যত কম থাকে ততই মঙ্গল, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের।