তারুণ্য ধরে রাখতে চেষ্টার ত্রুটি নেই। কী খাবেন, কী খাবেন না, কী পরবেন, কী পরবেন না- এমন কতরকমের বিধিনিষেধ! অথচ এত শ্রম ছাড়াই অতি সহজে এবার আয়ু থাকবে আপনার কব্জায়। কী সেই উপায়? আসুন, শুনে নিই।
সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে কে না চায়? নিজেকে সুস্থ সবল সতেজ রাখার স্বপ্ন দেখেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল। তবে, এবার থেকে স্বপ্ন সত্যির চাবিকাঠি আপনারই হাতে। প্রতিদিন হাঁটাহাঁটির অভ্যাস ম্যাজিকের মতো বাড়িয়ে দিতে পারে আপনার আয়ু। কী, নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছেন না? এবার আপনার বিশ্বাস করার পালা, কারণ এবার এমনই তথ্য দিয়েছে ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ’-এর একটি সমীক্ষা।
আধুনিক জীবনযাত্রার অনেকখানি অংশ জুড়ে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। আর সেই প্রযুক্তির দোহাই দিয়ে বারবার আমরা আমাদের রোজকার কাজের জন্য ব্যবহার করি হরেক রকম যন্ত্র! তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে গাড়ি বা অন্যান্য যানবাহনে যাতায়াত। আর এভাবেই একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে পরিশ্রমের অভ্যাস। অমনি জীবন থেকে প্রায় ছুটি নিয়েছে হাঁটাহাঁটি। কিন্তু জেনে রাখুন, এই হাঁটাহাঁটির অভ্যাসই কিন্তু আপনার আয়ুকে ম্যাজিকের মতো বাড়িয়ে দিতে পারে।
ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত একটি নয়া গবেষণা অনুসারে জানা গেছে দীর্ঘায়ু এবং স্বাস্থ্যের সঙ্গে শারীরিক কার্যকলাপের অনেক সম্পর্ক রয়েছে। আর সেই মোক্ষম দাওয়াই হল হাঁটার অভ্যাস। আপনার জীবনে আরও ১১ খানা বছর দিব্য যুক্ত হতে পারে শুধুমাত্র হাঁটাহাঁটি করে। ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ’ -এর একটি সমীক্ষায় চল্লিশ বছর বয়স অবধি মানুষের উপর আয়ু হ্রাস বা বৃদ্ধির পরীক্ষা করা হয়েছে। এবং তাঁরা শরীরে ব্যায়ামের প্রভাব অনুযায়ী পুরো বিষয়টিকে চারটি বিভাগে ভাগ করেছেন। যাঁরা প্রতিদিন ৫০ মিনিটের কম হাঁটেন তাঁদের যথার্থ পরিশ্রম হয় না। যাঁরা যথাক্রমে ৮০ মিনিট, ১১০ মিনিট হাঁটেন, তাঁরা হিসাবমত কম এবং মাঝারি পরিশ্রম করেন। আর ১৬০ মিনিট ধরে হাঁটলে তবে হয় প্রকৃত পরিশ্রম। আর এই পরিশ্রমের ফলাফল হল দীর্ঘ আয়ু।
সমীক্ষায় আরও জানা গেছে যে, সবচেয়ে কম হাঁটাহাঁটি করা ব্যক্তিরা যদি তাঁদের অভ্যাস পালটে হাঁটাচলা বাড়িয়ে দেন, তাহলেও কিন্তু তৎক্ষণাৎ তাঁদের আয়ু বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। শুধু তাই নয়, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য দৈনিক ৩০ মিনিট হাঁটা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। পাশপাশি আপনার মনকে চাঙ্গা রাখার একটি কার্যকরী উপায় হল হাঁটাচলা করা।
ভেবে দেখুন তো, আয়ু বৃদ্ধির এমন মহৌষধি নাকি আপনার নাগালের মধ্যেই রয়েছে! তাই এবার থেকে শরীর নিয়ে দুশ্চিন্তায় এদিক-সেদিক না ছুটে, বরং ছোটাছুটিকেই নিজের অভ্যাস বানিয়ে নিন।