বর্ষার শুরুতেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুও ঘটছে অনেকেরই। রেহাই পাচ্ছে না খুদেরাও। তবে রোজকার ডায়েটে এই খাবারগুলো থাকলে, কিছুটা হলেও রেহাই মিলতে পারে ডেঙ্গুর হাত থেকে। কোন কোন খাবারের কথা বলছি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার না হলে, যে কোনও রোগ সহজেই বাসা বাঁধতে পারে। ওষুধ খেয়ে সাময়িক উপকার মিললেও, স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে পুষ্টিকর খাবার। রোজকার ডায়েটে কয়েকটা খাবার যোগ করলে, শরীরের অভ্যন্তরীণ গঠন মজবুত হয়। যা বর্ষাকালের নানান জীবাণুঘটিত রোগের হাত থেকে রেহাই দিতে পারে।
আরও শুনুন: আশেপাশে কারও চোখে কনজাংটিভাইটিস! নিজেকে বাঁচাবেন কীভাবে?
বর্ষাকালে একটু অসতর্ক হলে, যত্রতত্র জল জমে। আর সেই জমা জলই হল মশাদের আঁতুড়ঘর। তাই বর্ষা শুরু হলেই, ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত শুরু হয় চারিদিকে। এক্ষেত্রে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করা কিংবা অন্যান্য সাবধানতা অবলম্বন কড়া আবশ্যক। পাশাপাশি রোজকার ডায়েটে কয়েকটা খাবার যোগ কড়া যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই খাবারগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তে বিশেষ কার্যকর। তালিকায় প্রথমেই রয়েছে আমন্ড বাদাম। রোজ সকালে অন্তত চারটে আমন্ড বাদাম খাওয়া বিশেষ উপকারী। এতে শরীরে এনার্জির ঘাটতি হয় না। রক্তসঞ্চালনও সচল থাকে সবসময়। এরপরই রয়েছে কলা। প্রতিদিন অন্তত একটা করে কলা খেলে, ডেঙ্গুর হাত থেকে রেহাই মিলতে পারে। আসলে কলার মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদান, শরীরে বিভিন্ন উৎসেচকের মাত্রা ঠিক রাখে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। এতেই ডেঙ্গু হওয়ার প্রবণতা কমতে পারে বলেই মত তাঁদের। শুধু উৎসেচক নয়, শরীরে পর্যাপ্ত জলের ঘাটতিও সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণ জল খাওয়ার পাশাপাশি ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শও দেন বিশেষজ্ঞরা। এই অভ্যাসের জেরে শরীরে কখনই জলের ঘাটতি হয় না। বিশেষভাবে কাজে আসে আদাও। যে কোনও রোগ প্রতিরোধেই আদার ভূমিকা রয়েছে। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় না। চায়ের সঙ্গে আদা খেলে গলার সমস্যাও দূর হয়।
আরও শুনুন: বর্ষার সময়ও ঋতুকালে ব্যবহার করেন স্যানিটারি ন্যাপকিন! হতে পারে অন্য বিপদ
তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবথেকে উপকারী হল পেঁপে। রোজের ডায়েটে কাঁচা হোক বা পাকা, যে কোনও ধরনের পেঁপে থাকলেই মিলবে উপকার। ডেঙ্গু হলে মূলত রক্তে প্লেটলেট কমে যায়। পেঁপে খেলে সেই ঘাটতি সহজেই পূরণ হয়। অনেকে ডেঙ্গু হলে পেঁপে পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দেন। এতেও বিশেষ উপকার মেলে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। এছাড়া রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমাতে অবশ্যই বেদানা খাওয়া যেতে পারে। কাজে আসে পালং শাকও। ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত রুখতে এইসব খাবার রোজকার ডায়েটে থাকা খুবই জরুরী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।