পুজো মানেই একটু বেনিয়ম। রোজকার বাঁধা গত ভেঙে বেরিয়ে পড়া। তাই খাওয়া দাওয়া হোক, প্যান্ডেল হপিং চলছে চুটিয়ে। আনন্দ হচ্ছেই, তবে শরীরও জানান দিচ্ছে তার টুকিটাকি সমস্যার কথা। কুছ পরোয়া নেহি। সহজ কয়েকটা উপায় মেনে চললেই, দিব্যি সুস্থ থাকতে পারবেন। আসুন শুনে নিই।
উৎসব যেন নিয়ম ভাঙার ছাড়পত্র। প্রতিদিন যা যা করা হয়, যে রুটিন মেনে চলা হয়, উৎসবের দিনেও কি সেইসব বিধিনিষেধ মানা যায়! মোটেও না! প্যান্ডেল হপিং-এ বেরিয়ে একটু বেপরোয়া খাওয়া দাওয়া হয়েই যায়। ঘুরতে ঘুরতে রাত জাগার মাত্রাও বেড়ে যায়। সে তো স্বাভাবিক। তবে শরীর বলেও তো একটা জিনিস আছে। সে কিন্তু থেকে থেকেই নানা সমস্যার কথা জানান দিচ্ছে। কিন্তু তাই বলে কি উৎসবে আনন্দ করবেন না? তা আবার হয় নাকি! অবশ্যই ঘুরে বেড়ান, আনন্দ করুন আর সেই সঙ্গে মেনে চলুন কয়েকটা সাধারণ নিয়ম। তাতেই শরীর থাকবে ফিট, পুজোও হবে হিট।
তাহলে কী কী করবেন?
রাত জেগে ঘুরে বেড়ানো মানেই শরীর থেকে প্রচুর জল ঘাম হয়ে বেরিয়ে যাওয়া। অর্থাৎ ডিহাইড্রেশনের একটা সমস্যা কিন্তু হতেই পারে। তাই সবার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। বাড়িতে যতক্ষণ আছে, ততক্ষণ তো জল পান করছেনই, বাইরে বেরোলেও সঙ্গে রাখুন জলের বোতল। অনেক সময় আমরা তৃষ্ণা মেটাতে ঠান্ডা পানীয়তে গলা ভেজাই। তার অবশ্য কিছু মন্দ দিকও আছে। তাই চেষ্টা করুন সাধারণ জল খেতে। আর একেবারেই না পাওয়া গেলে ফ্রেশ জুস নিদেন ডাবের জল হলেও চলবে। তাই দিয়ে শরীরে জলের অভাব মিটিয়ে নিন। এতে ক্লান্তি আর তেমন কাবু করতে পারবে না।
আরও শুনুন: শিউলির গন্ধেই আসে বাঙালির শরৎকাল… জানেন কী কী রোগ সারাতে পারে এই ফুল?
পুজোয় বেড়াতে বেরিয়েছেন আর রাস্তার পাশের স্টল থেকে এটা ওটা খাবার খাবেন না, তাই আবার হয় নাকি! এমনিতে সুস্বাদু এই খাবার। তবে হয় কি, ঘুরতে ঘুরতে যদি এই ধরনের খাবার অনেকটা খেয়ে পেলেন তাহলে অবশ্য সমস্যা। কেননা পেটের জন্য তো এগুলো খুব একটা সুখদায়ক নয়। তাই এই খাবার খাওয়ার সময় খেয়াল রাখুন, যেন অনেকটা খাবার না খাওয়া হয়। ভালো হয়, যেদি বেরিয়ে পড়ার আগে হালকা করে কিছু খেয়ে বেরোন। তাহলে চনমনে খিদেটা আর থাকবে না। ফলে জাঙ্ক ফুড যদি রসনাতৃপ্তির জন্য খেয়েও ফেলেন, তার পরিমাণটা অন্তত বেশি হবে না।
বাকি অংশ শুনে নিন।