করোনার আগের স্ট্রেনগুলোর চেয়ে ওমিক্রন অনেক বেশি সংক্রামক বটে। তবে ডেল্টা বা অন্য স্ট্রেনের তুলনায় ওমিক্রনের উপসর্গ বেশ কম। সাধারণ সর্দিকাশি, হালকা জ্বর। তবে বেশিরভাগ ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীরাই জানিয়েছেন, খুব বেশি রকমের কোমর ও গা-হাত-পায়ের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন তাঁরা। সঙ্গে রয়েছে ক্লান্তি। ওমিক্রন থেকে সেরে উঠলেও পিছু ছাড়ছে না সেই ব্যথা। এ বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞেরা? শুনে নিন।
ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তার মধ্যে রয়েছে ডেল্টা আক্রান্তরাও। তবে ডেল্টা আক্রান্তদের তুলনায় ওমিক্রন আক্রান্তদের উপসর্গ অনেক হালকা। সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা বেশি হলেও ডেল্টার তুলনায় অনেক কম মারণ করোনার এই নয়া স্ট্রেন। সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি- এতেই মিলছে রেহাই। স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়ার মতো উপসর্গ প্রায় নেই বললেই চলে। মৃত্যুর হার তো বটেই, হাসপাতালে ভর্তির হারও বেশ কম ওমিক্রন আক্রান্তদের ক্ষেত্রে।
তবে বেশিরভাগ ওমিক্রন আক্রান্তদের ক্ষেত্রেই বেশ জ্বালাচ্ছে কোমর-পিঠে ব্যথা। হাত ও পায়ের গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা ও ক্লান্তি ভাব। অনেক সময় করোনা থেকে সেরে ওঠার পরেও রয়ে যাচ্ছে সেই সমস্যা। এই কোমর-পিঠের ব্যথার পিছনে আসল কারণটা কী? আর এসবের হাত থেকে রেহাই পাবেন কী ভাবে? কী বলছেন এ নিয়ে বিশেষজ্ঞেরা? আসুন, শুনে নিই।
আরও শুনুন: কবে থামবে ওমিক্রন ঝড়! তৃতীয় ঢেউ শেষের সময় জানালেন বিশেষজ্ঞরা
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের ভাইরাল জ্বর বা রোগের ক্ষেত্রে কিন্তু এটা একটা খুবই সাধারণ উপসর্গ। কোমর-পিঠে ব্যথা, হাত-পায়ের গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা- এসব লেগেই থাকে। কোভিডও এর ব্যতিক্রম নয়। ইদানীং বেশির ভাগ কোভিড আক্রান্তরাই এ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। তাঁদের বেশির ভাগই হয়তো ডেল্টা নয়, ওমিক্রনের শিকার। তবে জিনোম সিকোয়েন্সিং টেস্ট বেশ খরচাসাপেক্ষ। ফলে করোনা পরীক্ষার ফলে আমরা যেটুকু জানতে পারছি, তাতে পরিষ্কার নয় আমরা ডেল্টায় আক্রান্ত না ওমিক্রনে। তবে কোমরে ব্যথার কারণ চিকিৎসকদের কাছে পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। হতে পারে প্রদাহ বা যন্ত্রণার পিছনে দায়ী যে উপাদানগুলি, সেগুলি শরীরে বেশি পরিমাণে তৈরি করছে করোনার এই নয়া স্ট্রেন। তবে আসল কারণ জানতে ওমিক্রন নিয়ে আরও পড়োশোনা প্রয়োজন।
অতিমারির কারণে বছর দুয়েক ধরে আমরা অনেকেই প্রায় গৃহবন্দি। বাড়িতে বসেই কাজ। তার ফলে সূর্যের আলো শরীরে প্রায় লাগে না বললেই চলে। সব মিলিয়ে এই ক-বছরে আমাদের প্রত্যেকেরই শরীরের ভিটামিন ডি-থ্রি লেভেল নেমে গিয়েছে অনেকটাই। আর ব্যথা-যন্ত্রণার পিছনে এটাও একটা বড় কারণ। সেক্ষেত্রে আমাদের ভিটামিন টেস্ট করানো দরকার। দেখে নেওয়া প্রয়োজন শরীরে কোনও প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি রয়ে গিয়েছে কিনা। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সে সব ক্ষেত্রে বাইরে থেকে সাপ্লিমেন্ট দিয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে। ক্যালসিয়ামের অভাবও এর পিছনে একটা বড় কারণ হতে পারে।
আরও শুনুন: সেরে ওঠার পর ফের কি ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন…
চিকিৎসকের সঙ্গে এ ব্যাপারে পরামর্শ করার পাশাপাশি কয়েকটি সতর্কতা অবলম্বন করেও কিন্তু ব্যথার থেকে রেহাই পেতে পারেন। বিশেষজ্ঞেরা কী বলছেন, শুনে নিন।
কোয়ারান্টাইন পর্বে আমাদের অনেকটা সময়ই কেটেছে বিছানায়। করোনা থেকে উঠে একটু হাঁটাচলা করুন। তেমন প্রয়োজন হলে ঘরের মধ্যেই। সম্ভব হলে স্ট্রেচিং করুন।
বাড়িতেই নিয়মিত কিছু ব্যায়াম অভ্যাস করুন। বিশেষত কোমর-পিঠের কিছু ব্যায়াম তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন।
গরম সেঁকে কিন্তু অনেক সময়ই কাজ দেয়। তেমন ব্যথার ক্ষেত্রে সেঁক নিয়ে দেখতেই পারেন।
বাকি অংশ শুনে নিন।