যত হেলাফেলাই করা হোক না কেন, যত লজ্জার বালাই থাক না কেন, যৌনস্বাস্থ্য জিনিসটা কিন্তু মোটেও ফেলনা নয়। আর সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কন্ডোম। এবার পুরুষ ও নারীর জন্য একটাই কন্ডোম বানিয়ে তাক লাগালেন এক চিকিৎসক।
যৌনতার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংক্রমণ রুখতে কন্ডোমের কোনও বিকল্প নেই। চিকিৎসকরা তাই বরাবরই যৌন মিলনের ক্ষেত্রে কন্ডোম ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এতদিন পর্যন্ত বাজারে পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা আলাদা কন্ডোমই পাওয়া যেত। লিঙ্গ আর যোনির আকৃতিগত তফাতের কারণেই, একরকম কন্ডোম বানানো, সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এবার সেই অসুবিধা দূর করলেন মলেশিয়ার এক গায়নোকজলিস্ট। তাঁর দাবি, তাঁর তৈরি করা কন্ডোমটিই পৃথিবীর প্রথম ইউনিসেক্স কন্ডোম।
আরও শুনুন: পুরুষাঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য কত? যৌনতা নিয়ে গবেষণায় অবশেষে মিলল উত্তর
সাধারণ কন্ডোমের সঙ্গে খুব বেশি ফারাক নেই এটির। নিজে গায়নোকলজিস্ট হওয়ার দরুণ এই চিকিৎসক নিয়মিত শুনতেন রোগীদের সমস্যা। পুরুষদের কন্ডোম ও মহিলাদের কন্ডোম আলাদা হওয়ার ফলে, অনেক সময়ই সুরক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা হত রোগীদের। তাই তিনি ভাবছিলেন, যদি এমন একটি উপায় বের করা যায়, যা সাধারণ কন্ডোমকেই এমন করে তুলবে, যা পুরুষ-নারী দুজনেই ব্যবহার করতে পারবে, তাহলে মন্দ হয় না। এরকমটা সম্ভব হলে কন্ডোম না থাকার কারণে সুরক্ষার অভাব হবে না কখনোই। এই ভাবনা থেকেই, সাধারণ কন্ডোমের সঙ্গে একটি অ্যাডহেসিভ কভার যোগ করেন তিনি। ফলে পুরো জিনিসটিই বদলে যায়। পুরুষদের পাশাপাশি তা মহিলারা ব্যবহার তো করতে পারবেনই, উলটে তা বাড়তি সুরক্ষাও দেবে। যেহেতু অ্যাডহেসিভ অংশটা শরীরের বাড়তি জায়গা ঢেকে রাখতে সক্ষম। এটি তৈরিতে এমন মেটিরিয়াল ব্যবহার করা হয়েছে, যা কাউকেই বুঝতে দেবে না যে, তিনি শরীরে বাড়তি কিছু পরে রয়েছেন। এই কন্ডোম বানিয়েই ক্ষান্ত হননি চিকিৎসক। তা কতটা সহায়ক হবে, বুঝতে রীতিমতো পরীক্ষাও করেছেন। শেষমেশ সন্তুষ্ট হয়েই তিনি ছাড়পত্র দিয়েছেন। তাঁর দাবি, খুব শিগগিরি এই কন্ডোম বাজারে আসবে। এর ফলে লিঙ্গ নির্বিশেষেই, যে কেউ তাঁর যৌনস্বাস্থের খেয়াল রাখতে পারবেন।