শীতের দাপটে গরম জল ছাড়া স্নানের কথা ভাবছেনই না। কিন্তু এই অভ্যাসের ফলে যৌন জীবনে বিপদ ডেকে আনছেন না তো? গরম জলে নিয়মিত স্নান সারলে কি পুরুষের প্রজননক্ষমতায় প্রভাব পড়তে পারে? শুনেই নিন।
নিয়মিত গরম জলে স্নান সারার অভ্যাস থাকে অনেকেরই। আর এমনিতে সে অভ্যাস থাক বা না থাক, শীতকালের কথা আলাদা। তার উপর যদি এমন কনকনে শীত পড়ে, তার মধ্যে গায়ে জল ঢালার কথা ভাবলেই তো জ্বর আসে অনেকের। অতএব ভরসা সেই গরম জল। বাথরুমে ঢুকলেই হাত চলে যায় গিজারের সুইচে। কিন্তু এর ফলে অন্য বিপদ ডেকে আনছেন না তো? শরীরকে একদিকে সুখে রাখতে গিয়ে অন্য সুখের পথেই কি কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন?
আরও শুনুন: উৎসবের মরশুমে হাবিজাবি খাওয়া! অজান্তেই যোনির ক্ষতি হচ্ছে? জেনে রাখুন
হ্যাঁ, অন্য সুখ অর্থে যৌনতার কথাই বলছি। বিছানার আদরে গলে যাওয়ার সে সুখ তখনই পূর্ণতা পায়, যখন সঙ্গমে লিপ্ত দুজনে শারীরিকভাবে পুরোপুরি সক্ষম থাকেন। এক্ষেত্রে পুরুষের স্পার্ম কাউন্টের যে একটি বড় ভূমিকা আছে, তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যৌন হরমোনগুলি নিজেদের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করতে পারলে একইসঙ্গে যৌনতা তৃপ্তি আনে আর স্পার্ম উৎপাদনেও ঘাটতি থাকে না। কিন্তু গবেষকেরা বলছেন, এইখানেই বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে রোজ গরম জলে স্নান। এই অভ্যাসের ফলে পুরুষের বীর্য উৎপাদনেই ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যার ফলে কমতে পারে প্রজননের ক্ষমতাও।
আরও শুনুন: উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য লুকিয়ে উদ্দাম যৌনতায়… কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?
ঠিক কী কারণে এমন সমস্যা হতে পারে? হার্ভার্ড হেলথের এক গবেষণা জানাচ্ছে, পুরুষের টেস্টিস বা শুক্রাশয়ে যে কোশগুলি বীর্য উৎপাদন করে, তা তখনই সবচেয়ে ভালো কাজ করে যখন শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে টেস্টিসের তাপমাত্রা সামান্য কম থাকে। প্রাকৃতিক ভাবে টেস্টিস সবসময়েই বাকি শরীরের থেকে চার ডিগ্রি কম তাপমাত্রা বজায় রাখে। এই তাপমাত্রা যদি সামান্যও বাড়ে, এমনকি দুই থেকে চার ডিগ্রিও বাড়ে, তাহলেই স্পার্ম উৎপাদন এবং টেস্টোস্টেরন ক্ষরণ, দু ক্ষেত্রেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর গরম জলে স্নান সারলে ঠিক তেমনটাই ঘটে। গরম জলে নিয়মিত স্নান করলে শুক্রাশয়ের তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে যায়, ওই চার ডিগ্রির তফাত আর বজায় থাকে না। এর দরুনই পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমতে পারে, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।