স্ট্রেস। আধুনিক জীবনযাপনে ক্ষেত্রে সবথেকে ভয়ের শব্দ বোধহয় এটাই। আর তা মোকাবিলা করতেই এক উপায় বের করেছেন ব্রিটিশ পুরুষ ও মহিলারা। স্ট্রেসের প্রতিকার হিসাবে কাজের সময় হস্তমৈথুনকেই বেছে নিয়েছেন তাঁরা। শুধু পুরুষরাই নয়, এ হাতছানিতে বেশি করে সাড়া দিচ্ছেন মহিলারাও।
হস্তমৈথুনেই স্ট্রেস-মুক্তি। ওয়ার্ক ফ্রম হোমের চাপ কমাতে কাজের শিফটের মাঝামাঝি হস্তমৈথুনের আশ্রয় খুঁজে নিচ্ছেন ব্রিটিশ মহিলারা। ব্রিটিশ পুরুষরাও হাঁটছেন একই পথে। তবে এই হার মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি বলেই দাবি এক সমীক্ষায়।
আরও শুনুন: গর্ভনিরোধক বড়ি খেলে মহিলাদের সম্পর্কে কী ভাবে পুরুষরা? জানাল সমীক্ষা
আসলে অতিমারীর দিনকাল কাজের পৃথিবীকে অনেকটাই আটকে ফেলেছিল ঘরের মধ্যে। ঘরই হয়ে উঠেছিল অফিস-কাছারি, যার পোশাকি নাম ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম। অতিমারী ফিকে হলেও, কাজের এই বদল অনেক ক্ষেত্রেই পাকাপাকি হয়ে গিয়েছে। ব্রিটিশরাও পড়েছেন এই ঘর থেকে অফিস করার কবলে। কেউ কেউ বলছেন, এর ফলে নাকি বেড়েছে হৃদরোগের প্রবণতা। আর তা মোকাবিলা করতেই হস্তমৈথুনের আশ্রয় নিয়েছেন ব্রিটিশ কর্মীরা। মোটামুটি নারী-পুরুষ মিলিয়ে এই হার প্রায় ৫০ শতাংশ।
আরও শুনুন: শীতকালে স্নানের ভয়! চিকিৎসকরা বলছেন রোজ স্নান জরুরিও নয়
শুধু আনন্দ পাওয়ার জন্যই যে হস্তমৈথুন করছেন কর্মীরা তা নয়। অনেকের ক্ষেত্রেই এর নেপথ্যে আছে গুরুতর কারণ। মাথায় উপর খাঁড়ার মতো ঝুলে আছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের স্ট্রেস। যৌনতা সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করে এমন এক সংস্থার সমীক্ষায় বহু ব্রিটিশ পুরুষই নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নিয়েছেন, কাজের চাপ এতটাই, যে তা থেকে মুক্তি পেতে হস্তমৈথুনকে বেছে নিচ্ছেন তাঁরা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য এ প্রবণতা কমছে। যেমন, ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সি কর্মীদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা যায় ২৭ শতাংশের মধ্যে, ৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে তা নেমে এসেছে ১৮ শতাংশে, ৪৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশের মধ্যেই এই প্রবণতা দেখা যায়। সমীক্ষাটি আরও কয়েকটি বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করেছে। যেমন, অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিতদের মধ্যেই এই প্রবণতা বেশি। আবার যাঁদের বেতন বা উপার্জন বেশি, তাঁদের মধ্যেও এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তবে বয়স যাই হোক না কেন, প্রায় প্রত্যেকেই জানাচ্ছেন, স্ট্রেস থেকে যে শারীরিক ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে তা কমাতেই এই পথের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
কাজের সময়ে হস্তমৈথুনের হাতছানি মহিলাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। প্রতি পাঁচ জনে ২ জন মহিলা এক্ষেত্রে এইভাবেই স্ট্রেস থেকে মুক্তি খুঁজছেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হার ৩৯ শতাংশ হলেও, পুরুষদের ক্ষেত্রে তা ৩২ শতাংশ। তবে শতাংশের হেরফের যা-ই হোক না কেন, নারী-পুরুষ মিলিয়ে সকল ব্রিটিশ কর্মীরাই যে কর্মস্থলের স্ট্রেসে জর্জরিত, এ সমীক্ষা সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।