দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোর রীতি বহুকালের। নানান রঙের আলোয় চারিদিক নিমেষে ভরিয়ে দেওয়ায় বাজির জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু আনন্দ যেমন দেয়, তেমনই এই বাজির ধোঁয়া পরিবেশকে দূষিতও করে। বাজির ধোঁয়ায় ক্ষতি হতে পারে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গেরও। তবে কয়েকটি উপায় মেনে চললে এই দূষণের হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। আসুন, শুনে নিই।
দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। আর সেই আলোর উৎসবের অন্যতম অঙ্গ বাজি পোড়ানো। সাময়িক আনন্দ নয় হল। কিন্তু বাজির ধোঁয়া ডেকে আনে নানা অসুখ-বিসুখ। ফুসুফুস কিংবা ত্বক, বাজির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শরীরে বিভিন্ন অংশ। যদিও এর থেকে বাঁচার জন্যেও রয়েছে বেশ কিছু উপায়। কিছু সাধারণ ভেষজ পদার্থই বাজির দূষণের থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।
আরও শুনুন: ‘লক্ষ্মীপুজো না করেও কেন ধনী মুসলিমরা?’, প্রশ্ন তুলে বিপাকে বিজেপি বিধায়ক
তালিকায় প্রথমেই রয়েছে নিমপাতা। জীবাণুনাশক হিসেবে নিমের ভূমিকা অপরিসীম। বসন্ত রোগের প্রধান প্রতিষেধক হিসেবেও এই গাছের পাতাই ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজির দূষণ থেকেও বাঁচাতে পারে নিমপাতা। তবে তার জন্য নিতে হবে সামান্য প্রস্তুতি। প্রথমে কিছুটা গরম জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে নিমপাতা। জলের মধ্যে পাতার নির্যাস বেরিয়ে এলেই সেই জল মিশিয়ে দিতে হবে স্নান করার জলের সঙ্গে। তারপর সেই জলে স্নান করলেই দেহত্বকে তৈরি হয়ে যায় সুরক্ষা-বলয়। একইসঙ্গে কেউ যদি দু-চারটি নিমপাতা খেতে পারেন, তাহলে আরও উপকার পাওয়া যাবে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এরপর রয়েছে তুলসীপাতা। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, সকালে উঠে তুলসীপাতা খেলে শরীরের বিভিন্ন রোগ সেরে যেতে পারে। একইসঙ্গে বাজির দূষণ থেকে বাঁচার জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে দেয় এই তুলসীপাতা। তুলসীপাতার রস চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শও দিয়ে থাকেন বিভিন্ন চিকিৎসকেরা।
আর শুনুন: মৃত ব্যক্তিকে হাত ধরে ডাকার চেষ্টা করছে হনুমান, পশুর ‘মানবিক’ আচরণে চোখে জল নেটিজেনদের
রোজকার রান্নায় ব্যবহার করা হলুদেরও রয়েছে বিশেষ জীবাণুনাশক ক্ষমতা। তাই সকালে উঠে এক চামচ হলুদ জলে মিশিয়ে খেলেও মিলবে বিশেষ উপকার। তালিকায় এরপর রয়েছে বনস্পতি ঘি। খাবারের সঙ্গে বিশুদ্ধ ঘি খেলেও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে বলেই মনে করেন চিকিৎসক মহল।
এছাড়াও পিপল, ত্রিফলার মতো বেশ কিছু ভেষজ গুণ সম্পন্ন উপাদানও একইভাবে শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে পারে বাজির দূষণ থেকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে বাজির দূষণ থেকে বাঁচার জন্য সবথেকে জরুরি হল নিয়মিত যোগাভ্যাস করা। বিশেষ কিছু যোগাসনের মাধ্যমে যে-কোনও শ্বাসজনিত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। একইসঙ্গে শরীরের অঙ্গগুলির কার্যক্ষমতাও বেড়ে যায় নিয়মিত যোগাসন করলে। দূষণের কারণে যা যা ক্ষতি আমাদের অজান্তেই হয়ে থাকে, তা কমানো যায় এই উপায়গুলি অবলম্বন করলেই।