মাত্র ৩২ বছর বয়সেই প্রয়াত তারকা পুনম পাণ্ডে। সার্ভাইক্যাল ক্যানসার কাড়ল প্রাণ। ঘটনার জেরে নতুন করে চর্চায় উঠে এসেছে এই রোগ। এই ক্যানসারকে রুখতে হলে ঠিক কীভাবে সতর্ক থাকবেন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
পুনম পাণ্ডের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া অনুরাগী মহলে। এত কম বয়সে তারকা অভিনেত্রীর মৃত্যু অবাক করেছে প্রায় সকলকেই। মৃত্যুর কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন সার্ভাইক্যাল ক্যানসারে ভুগছিলেন পুনম। শেষ পর্যন্ত যা প্রাণ কাড়ল পুনমের। এরপর থেকেই নতুন করে চর্চায় উঠে এসেছে এই মারণ রোগ।
আরও শুনুন: সম্প্রীতির ভারত! মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, পায়ে হেঁটে রাম মন্দির দর্শনে ৩৫০ মুসলিম ‘ভক্ত’
অনেকে হয়তো স্রেফ নামটুকু শুনেছেন। কিন্তু কীভাবে এই রোগ হতে পারে, সেই ধারণা তেমন স্পষ্ট নয়। এদিকে হিসাব বলছে, প্রতি বছর লক্ষাধিক মহিলা আক্রান্ত হন এই রোগে। তার মধ্যে অন্তত ৭৭ হাজার মহিলার মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত অল্পবয়সীরাই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে টিকা নিলে ঝুঁকি কমতে পারে। যার জন্য কেন্দ্রের তরফেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে বেশি বয়সেও যে এই ক্যানসার হবে না তার কোনও মানে নেই। সেক্ষেত্রে, খেয়াল রাখতে হবে কয়েকটা বিষয়। শরীরে আচমকা এই সমস্ত পরিবর্তন দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। হটাৎ করে ওজন কমে যাওয়া, তলপেটে ব্যাথা, কোমরে যন্ত্রণা, প্রাথমিক কারণ হতে পারে এই সবই। তবে, জরায়ু-মুখের ক্যানসার বোঝার আরও কিছু উপায় রয়েছে। নিদেন পক্ষে কয়েকটা ব্যাপার খেয়াল রাখলে, এই রোগের মারাত্মক প্রভাব খানিকটা কমানো যেতে পারে।
আরও শুনুন: উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে রাম মন্দির যাওয়ার জের, ইমামের বিরুদ্ধে জারি হল ফতোয়া
বিশেষজ্ঞদের মতে, সার্ভাইক্যাল ক্যানসারের অন্যতম কারণ হতে পারে অত্যধিক হারে গর্ভনিরোধক ওষুধ ব্যবহার। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বেশি পরিমানে গর্ভনিরোধক বড়ি খেলে তা ভবিষ্যতে সমস্যার কারণ হতে পারে। এবং সেই সমস্যা জরায়ু-মুখের ক্যানসারের মত মারণরোগের কারনও হতে পারে অনায়াসেই। এমনকি অসুরক্ষিত যৌন সংসর্গও এই ক্যানসারের কারণ হতে পারে। এছাড়া পিসিওএস থাকলে বাড়তি সতর্ক হওয়া উচিত। চিকিৎসকদের মতে এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে সার্ভাইক্যাল ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে রোজকার ডায়েটে একটু নজর দিলেই এই ক্যানসার থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। বাইরের খাবারের কমিয়ে, খাবারের প্লেটে শাক-সবজির পরিমাণ বাড়াতে হবে। তাহলেই অনেকটা সুস্থ থাকা সম্ভব। এছাড়া যে কোনও অসুবিধা হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।