গোটা বিশ্ব জুড়েই বিবাহবিচ্ছেদের হার বাড়ছে ক্রমশ, এমনটাই মত গবেষকদের। আর সেই বিচ্ছেদ এড়াতেই বিভিন্ন উপায় খুঁজছেন অনেকেই, যারা সম্পর্ককে ধরে রাখতে চান। এই উপায়ের তালিকায় নয়া সংযোজন ‘স্লিপ ডিভোর্স’। কী এই বিষয়টি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
একের পর এক তারকা জুটির বিচ্ছেদের খবরে শোরগোল অনুরাগী মহলে। কখনও আমির খান আর কিরণ রাও, কখনও সামান্থা প্রভু আর নাগা চৈতন্য, কখনও ধনুষ আর ঐশ্বর্য- সুখী দম্পতির মডেল ক্রমাগতই টলোমলো। সত্যি বলতে, গোটা বিশ্ব জুড়েই বাড়ছে এই অ-সুখ। কিছুদিন আগেই এক সমীক্ষা জানিয়েছিল, ইউরোপের অধিকাংশ দেশে প্রতিবছর ৭০ শতাংশেরও বেশি দম্পতি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। কোনও দেশে সেই প্রবণতা দেখা যায় ৯৪ শতাংশ দম্পতির ক্ষেত্রেও। সব মিলিয়ে, প্রথম বিশ্বের দেশগুলিতে ডিভোর্সের হার এশিয়ার দেশগুলির তুলনায় আরও বেশি। আর হয়তো সেই কারণেই, কী করে এই বিচ্ছেদকে ঠেকিয়ে রাখা যায়, অন্তত তিক্ততা জমলেও তা নিয়ে ক্রমাগত অশান্তি এড়ানো যায়, সেই পথ খুঁজছেন অনেকেই। আর সেই সূত্রেই আলোচনায় উঠে এসেছে ‘স্লিপ ডিভোর্স’-এর কথা।
কী এই ‘স্লিপ ডিভোর্স’?
সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিন। তাতে দেখা গিয়েছে, প্রতি তিন মার্কিন ব্যক্তির মধ্যে একজন ব্যক্তি ঘুমের সময় তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে শুতে যান না। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মোট ৪৫ শতাংশ পুরুষ স্বীকার করেছেন যে, তাঁরা মাঝেমধ্যে বা বেশির ভাগ সময়ই রাতে অন্য ঘরের সোফায় কিংবা গেস্ট রুমে শুতে যান। অন্য দিকে ২৫ শতাংশ মহিলাদের মধ্যেও এই প্রবণতা দেখা গিয়েছে। মোট ২০০০ জনকে নিয়ে করা হয়েছিল এই সমীক্ষাটি। আর সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ লোকই রাতে ঘুমোনোর সময় তাঁদের স্ত্রীর থেকে আলাদা শুতে পছন্দ করছেন। দম্পতিদের মধ্যে রাতে আলাদা ঘরে শোয়ার অভ্যাসকেই বলা হচ্ছে স্লিপ ডিভোর্স।
আসলে শান্তিতে ঘুমোনোর জন্যই এই পন্থা বেছে নিচ্ছেন অনেকে। যাতে ঝগড়াঝাঁটি বা দাম্পত্য কলহ ঘুমের সময়েও তাঁদের অস্থিত করে তুলতে না পারে। ঘুম ঠিকঠাক না হলে তর্ক-বিতর্ক বেশি হয়, মেজাজ খারাপ হয়ে থাকে, ফলে সম্পর্কের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অনেকেরই দাবি, রাতে আলাদা শোয়ার দরুন এই বিষয়টিকে এড়িয়ে যেতে পেরেছেন তাঁরা। আর তার ফলে তাঁদের সম্পর্কের মানও আগের থেকে উন্নত হয়েছে বলেই দাবি করেছেন ওই যুগলেরা।