অনেক সময়ই কোনও না কোনও কারণে দর্শকের তোপের মুখে পড়ে বলিউডের বিভিন্ন সিনেমা। সম্প্রতি সেই দলে নাম লেখাল মাত্র কিছুদিন আগেই মুক্তি পাওয়া ছবি, ‘শেরশাহ’। যে কারণে এই আপত্তি, সেটিও কোনও প্রচলিত কারণ নয়।
কিছুদিন আগেই সিনে-দর্শকের মনে সাড়া ফেলে দিয়েছিল করন জোহর প্রযোজিত ‘শেরশাহ’। কার্গিল যুদ্ধের শহিদ ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার জীবন পর্দায় দেখে শ্রদ্ধায় অভিভূত হয়েছিলেন দর্শকেরা। সৈনিক জীবনের ঝুঁকি, বিপদ, লড়াইয়ের পাশাপাশি তাঁরা মুগ্ধ হয়েছিলেন বিক্রম-ডিম্পলের প্রেমপর্বের টুকরো টুকরো ঝলক দেখেও। কিন্তু একতরফা প্রশংসা পাওয়া সিনেমাটি নিয়েই সম্প্রতি প্রশ্ন তুললেন এক দর্শক। এমনকি, আদালতে যাওয়ার কথাও ভাবছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঠিক কী ঘটল, যার জেরে এমন সিদ্ধান্ত?
আরও শুনুন: শহিদ ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার স্মৃতি নিয়েই দিন কাটাচ্ছেন প্রেমিকা ডিম্পল, শুনে আপ্লুত কিয়ারা
কাশ্মীরের বাসিন্দা ওই দর্শক পেশায় সাংবাদিক। নাম ফরজ আশরাফ। স্বভাবতই, যে সিনেমার ভিত্তি কাশ্মীরে, তা নিয়ে তিনি বেশি মাত্রায় স্পর্শকাতর হয়ে পড়বেন। এমনিতেও বলিউড শুরু থেকেই কাশ্মীর নিয়ে কেবল প্রোপাগান্ডা ফিল্ম বানিয়ে আসছে বলেই মত আশরাফের। কিন্তু এই সিনেমাটি কেবল তাঁর বাসভূমিকে নয়, সরাসরি তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে আঘাত করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আর সেই কারণেই আদালত অবধি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তিনি।
আরও শুনুন: সিদ্ধার্থ-কিয়ারার Kiss-কিস্সা… চিত্রনাট্য নাকি নিজেদের ইচ্ছেতেই অনস্ক্রিন চুমু!
কিন্তু কেন এমন মনে করছেন আশরাফ?
তিনি জানিয়েছেন, ওই সিনেমায় একটি গাড়ির নম্বরপ্লেটে যে নম্বরটি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি আসলে তাঁর নিজস্ব গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর। তার চেয়েও বড় কথা, সিনেমায় ওই গাড়িটিকে দেখানো হয়েছে জঙ্গিবাহিনীর গাড়ি হিসেবে। আশরাফের মতে, বলিউড বরাবরই কাশ্মীরিদের জঙ্গি বলে চিহ্নিত করে আসছে, আর সমস্যাটা সেখানেই। এমনিতেই কাশ্মীরভূমিতে অশান্তি লেগেই থাকে। যে কোনও সন্দেহ হলেই সেখানকার মানুষদের জেরা করে, তল্লাশি চালায়, এমনকি গ্রেপ্তারও করে ভারতীয় সেনা। এই অবস্থায় নিজের গাড়িতে বাইরে বেরোনোর আর ভরসা পাচ্ছেন না আশরাফ। তাঁর এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিয়েও তিনি আশঙ্কিত। সোশাল মিডিয়ায় একাধিক টুইটে সে কথা জানিয়ে তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন এই ছবির নির্মাতা, পরিচালক, প্রযোজকের দিকে। বিনা অনুমতিতে কী করে তাঁর গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করা যেতে পারে, এই প্রশ্ন তুলেছেন আশরাফ। সারা দেশে এই ছবির সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হোক, বিচারব্যবস্থার কাছে এই আরজি জানাবেন তিনি। এই মামলার নিষ্পত্তি কীভাবে হয়, সেটাই এখন দেখার।