খুলে ফেলতে হবে ব্লাউজ। যাতে যৌন আবেদন আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সাফ নির্দেশ ছবির পরিচালকের। কিন্তু তাতেই ঘোর আপত্তি ছবির নায়িকার। তিনি আর কেউ নন, খোদ মাধুরী দীক্ষিত। শুনে নেওয়া যাক সে গল্প।
সিনেমায় সাহসী দৃশ্য কীভাবে শ্যুট করা হবে, তা নিয়ে নানারকমের আলোচনা চলতেই থাকে। অনেক সময়ে দেখা যায়, সেই বিশেষ দৃশ্যটিতে অভিনয় করতে গিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েন ছবির কলাকুশলীরা। বিশেষ করে প্রায়ই সমস্যা হয় অভিনেত্রীদের, কারণ সাহসী দৃশ্য মানেই তো খোলামেলা পোশাক। অনেকখানি শরীরকে সবার চোখের সামনে মেলে ধরা। এবার সেই পোশাকের সীমা কতদূর গড়াবে, তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। আর এমনই এক মুশকিলে জড়িয়ে পড়েছিলেন মাধুরী দীক্ষিতও।
আরও শুনুন: স্বল্পবাসে ঝড় তুলেছেন ‘খুফিয়া’-য়, ‘যব উই মেট’-এও ছিলেন সেই ওয়ামিকা?
আসলে তাঁর নজরকাড়া আকর্ষণ যতজনের বুকেই কাঁপন ধরাক না কেন, পর্দায় তিনি কীভাবে ধরা দেবেন তা নিয়ে নাকি বেশ সচেতন ছিলেন মাধুরী। একসময় তাঁর রীতিমতো আপত্তিই ছিল সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করা নিয়ে। আর ঠিক সেই গোলমালটাই বেধেছিল ‘শনাক্ত’ ছবির শুটিংয়ের সময়। অবশ্য মাধুরী নিজে সে কথা বলেননি। কিন্তু সেই সমস্যার কথা ফাঁস করেছেন সিনেমার পরিচালক টিনু আনন্দ।
অমিতাভ আর মাধুরী জুটিকে নিয়ে এই ছবি শুরু করেছিলেন টিনু আনন্দ। একটি দৃশ্যের প্রয়োজনে তিনি মাধুরীকে নির্দেশ দেন, ব্লাউজ খুলতে হবে। স্রেফ অন্তর্বাস পরে পর্দায় অভিনয় করতে হবে। কারণ ওই দৃশ্যে স্বামীকে বাঁচানোর জন্য নিজের শরীরকে ব্যবহার করছে নায়িকা। শুধু তাই নয়, সমস্তটাই হবে খোলাখুলি, কোনোরকম আড়াল থাকবে না- এ কথাও জানিয়ে দিয়েছিলেন টিনু। আর যেহেতু এই দৃশ্যটি খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাই এই দৃশ্যটি দিয়েই শ্যুটিং শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরও শুনুন: গল্প হলেও সত্যি! রুপোলি পর্দায় উদ্দাম যৌনতার অভিনয় তারকাদের, নেপথ্যে কী ঘটে?
কিন্তু কার্যক্ষেত্রে এতখানি খোলামেলা ভাবে নিজেকে দেখাতে আপত্তি ছিল মাধুরীর। প্রথমে তিনি শর্ত দেন যে, কী অন্তর্বাস পরছেন, তা ঠিক করবেন নিজেই। যেহেতু সেটিই দেখা যাবে। সে কথা মেনেও নিয়েছিলেন পরিচালক। কিন্তু তারপরেও মাধুরীর অস্বস্তি যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত, একেবারে শেষ মুহূর্তেও ছবি থেকে সরে দাঁড়াতে চান তিনি। অনেক বোঝানোর পরই নাকি এই ছবি করতে রাজি হয়েছিলেন মাধুরী, জানিয়েছেন টিনু আনন্দ। যদিও কোনও দিনই আর মুক্তির আলো দেখেনি এই ছবিটি।