ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বাজিগর-এর রোল, এখন কি আক্ষেপ করেন নায়িকা?

৯০-এর দশকে রণিত রয় ব্যান্ড-বাজা-বারাত নিয়ে যেই প্রেমিকার বিয়েতে – ‘আখখা ইণ্ডিয়া জানতা হ্যায় হাম তুমপে মরতা হ্যায়’গেয়ে-নেচে মাত করে দিয়েছিলেন, সেই নায়িকাই একসময় ফিরিয়েছিলেন শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করার অফারও। শুধু তাই নয় রোজার নায়িকা অভিনেত্রী মধুও ফিরিয়েছিলেন বাজিগরের রোল। এই অভিনেত্রীরা, তখন শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করার অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, যখন শাহরুখ হেমা মালিনী, উর্মিলা, জুহি, দিব্যা ভারতীদের মত, হিন্দি সিনেমার নামী সুন্দরীদের সঙ্গে কাজ করে ফেলেছেন। সেই আক্ষেপ কি এখনও রয়ে গেছে? কেন এমনটা করেছিলেন তাঁরা?

আরও শুনুন: শাহরুখ থেকে সলমন… তাঁর ইফতার পার্টিতে ডাক পেতে মুখিয়ে থাকেন তারকারা, কে এই বাবা সিদ্দিকি?

তাঁর প্রথম সিনেমাই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল বক্স অফিসে। ৯২ সালে ‘যান তেরে নাম’ সিনেমাটিতে প্রথমবার রণিত রয়ের সাথে দেখা যায় অভিনেত্রী ফারহিনকে। কুমার শানুর গাওয়া ‘যান তেরে নাম’-এর টাইটেল ট্র্যাক, আমজনতার মুখে মুখে ছড়িয়ে গিয়েছিল, ম্যারেজ প্রোপোজাল হিসেবে আর সিনেমাটাও বক্স অফিসে বেশ ভালই সাফল্য পেয়েছিল। এই সিনেমার পর, রণিত রয় তো বটেই, সাথে নবাগতা ফারহিনও প্রচুর হিন্দি ও দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার জন্য ডাক পেতে থাকেন। ফারহিনের সঙ্গে মাধুরীর তুলনা করা শুরু হয়। সেই সময় ডিরেক্টর ডুয়ো আব্বাস-মস্তানও, বাজিগর সিনেমার জন্য নতুন কোনও নায়িকার খোঁজে ছিলেন। কারণ আর কিছুই না, সিনেমার বাজেট একটু কম ছিল। আর সিনেমার মূল চরিত্র যখন নেগেটিভ, তখন প্রথম সারির অনেক অভিনেতাই তা করতে রাজি হবেন না। এমনকি অজয় দেবগণেরও, ‘অজয় শর্মা’ চরিত্রটি পছন্দ হলেও পারিশ্রমিকের জন্য তিনিও পিছিয়ে আসেন। শাহরুখ যেহেতু রোম্যান্টিক হিরোর ইমেজে কখনোই নিজেকে চাননি তাই তাঁর কাছে অজয় শর্মার চরিত্র ছিল, হাতে ইদের চাঁদ পাওয়ারই শামিল। শাহরুখের বিপরীতে, ডিরক্টরদের খোঁজ ছিল কোনও নতুন নায়িকার। সবার আগে তাঁরা ফাওরহীনের কাছেই যান। কিন্তু ফারহীন বাজিগরের ‘প্রিয়া’ বা ‘সীমা’ কোনও চরিত্রেই কাজ করতে রাজি হন না। ৯০এর আরও এক নামী অভিনেত্রী মধুশ্রী বা মধুকেও এই সিনেমার সীমার চরিত্রটি অফার করেছিলেন ডিরেক্টররা। মধুও তা ফিরিয়ে দেন।

কিন্তু প্রশ্ন হল কেন? শাহরুখের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কি এখনও আক্ষেপ করেন অভিনেত্রী? মধু তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারে পাঁচটা আলাদা আলাদা ফিল্ম ইণ্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। সেটা তাঁর কাছে বেশ মুশকিলের ছিল। তাই কখনোই তিনি একটা ফিল্ম শেষ না করে আরেকটা ফিল্মের কাজ শুরু করতে নেননি। আর এই কারণেই বাজিগরের সীমার রোল তাঁকে ফিরিয়ে দিতে হয়।

আরও শুনুন: দুটি নয়, আছে একটিই স্তন! প্রেমিক ভেঙেছিল সম্পর্ক, মডেলিং করে বাজিমাত তরুণীর

অন্যদিকে ফারহিনও ওই সময়, কমল হাসানের সঙ্গে দক্ষিণি ছবি কালাইগ্নন(Kalaignan) –এর জন্য সময় দিয়ে ফেলেছিলেন। তাই শাহরুখের জন্য থুড়ি বাজিগর সিনেমার জন্য সময় তিনি দিতে পারেননি। আসলে শাহরুখকে কখনোই মানা করতে চাননি ফারহিন। এসবের বাইরে রিয়েল লাইফেও, একটা টানটান রোম্যান্স ও লাভ ট্রাইওয়াঙ্গেলের গল্প রয়েছে এই নায়িকার জীবনে। আর সেসব নিয়েই বহুকাল আগেই লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গিয়েছেন নায়িকা।